১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিইআরসি মুল্য ১২৮৪ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০-১৫০০ টাকায়, বাজার তদারকি নেই

১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিইআরসি মুল্য ১২৮৪  বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০-১৫০০ টাকায়, বাজার তদারকি নেই
১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিইআরসি মুল্য ১২৮৪ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০-১৫০০ টাকায়, বাজার তদারকি নেই

বিশেষ প্রতিবেদক।। 

সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ দাম ১২৮৪ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিইআরসি। কিন্তু চট্টগ্রামে নির্ধারিত এই দামে এলপিজি সিলিন্ডার কোথাও বিক্রি হচ্ছে না। পাইকারিতেই প্রায় সব কোম্পানি এসব সিলিন্ডার বিক্রি করছে ১ হাজার ২৬০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।

দেশে এলপিজির ব্যবহার শুরুর পর বেসরকারি কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আদায় করে আসছিল। এ নৈরাজ্য বন্ধ করতে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।

সম্প্রতি বিশ্ববাজারে এলপিজির প্রধান উপকরণ- প্রোফেন ও বিউটেন'র দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় পরপর দুই মাস দেশে এলপিজির দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। এরপরেও চট্টগ্রামে বিইআরসি নির্ধারিত দামে ভোক্তারা এলপিজি সিলিন্ডার পাচ্ছেন না। প্রতিমাসে চট্টগ্রামে প্রায় ১ লাখ সিলিন্ডার বিক্রি হয়। প্রতিটি সিলিন্ডারে একজন ভোক্তাকে বিইআরসি নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০-২৫০ টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে। বাজার তদারকির অভাব এবং এলপিজি বিক্রিতে শৃঙ্খলা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ডিস্ট্রিবিউটররা জানিয়েছেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সিলিন্ডার প্রতি ওমেরা ১৩০০ টাকা, ডেল্টা ও জেএমআই ১২৪০ টাকা, বিএম ১২৬০-১২৭০ টাকা, পেট্রোম্যাক্স ১৩০০ টাকা, টোটাল ও লাফ ১২৮০ টাকা দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোম্পানি ও স্থানভেদে এসব সিলিন্ডার ১৪৫০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এসব বিষয়ে দোকানদারদের কাছে বিইআরসি কর্তৃক নির্ধারিত দামের কথা বললে গ্যাস বিক্রয় থেকে বিরত থাকছে তারা। এমনিতেই বর্তমানে দেশের প্রাই সকল পণ্যের দাম অস্বাভাবিক তার মধ্যে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও যদি ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি নেওয়া হয় তাহলে দেশে এমন অসাধু ব্যবসায়ের দৈরতে জনজীবন হয়রানিতে।

সিলিন্ডারের বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর এলপি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর-ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ডলার সংকটের কারণে কোম্পানিগুলো সিলিন্ডার সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। বাড়তি দাম দিয়েও সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে পাইকারি বাজারে সিলিন্ডারের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।

তিনি বলেন, নীতিমালা না মেনে যেখানে সেখানে সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। এই কারণে খুচরা বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবে দাম আদায় করছে। আগের মতো নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট ডিলারের মাধ্যমে সিলিন্ডার বিক্রি করলে শৃঙ্খলা থাকতো বলে জানান তিনি। পূর্বকোণ

খালেদ / পোস্টকার্ড ;