হটস্পট সীতাকুন্ড: স্বাস্থ্য কর্মীসহ ১ দিনে করেনা শনাক্ত ১১,মোট রোগী ৩৯

হটস্পট সীতাকুন্ড: স্বাস্থ্য কর্মীসহ ১ দিনে করেনা শনাক্ত ১১,মোট রোগী ৩৯
সীতাকুন্ডে স্বাস্থ্য কর্মীসহ ১ দিনে করেনা সনাক্ত ১১,মোট রোগী ৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, পোস্টকার্ডবিডি.কম ।।

সীতাকুন্ডে একদিনে করোনা সনাক্ত হয়েছে ১১ জন করোনা রোগী। সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মোতাবেক উঠে আসে এই চিত্র। সারাদেশের মতো যে হারে করোনা রোগী বেড়ে চলছে তাতে করোনা মহামারী রুপ নিতে পারে বলে জনমনে আশংকা। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগনের অবাধ বিচরন বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম পরিনতির দিকে পা দিচ্ছে সীতাকুন্ড।

করেনা রোগী সনাক্তের পাশাপাশী লকডাউন করা হয়েছে প্রায় অর্ধশত বাড়ি-ঘর। এরপরও জনসমাগম নিয়ন্ত্রনে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। তাছাড়া ঈদকে ঘিরে বাজারের মার্কেটগুলো মানুষের ভীড় বৃদ্ধি পাওয়ায় অবস্থা আরো কঠিন আকার ধারন করেছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন,‘করোনার হটস্পটে পরিনত হচ্ছে সীতাকুন্ড উপজেলা। জনগনের অসচেতনতায় করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগনকে ঘরে রাখতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কয়েকগুন বেশী বিতরন করা হয়েছে ত্রান ও আর্থিক সাহায্য। অথচ ত্রান পেয়ে নিন্ম আয়ের মানুষরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ বাজারে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মৃত্যুর মিছিল থামানো কঠিন হয়ে উঠবে  বলে জানান তিনি।

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে নিন্ম আয়ের মানুষের ভীড়ে একাকার হয়ে পড়েছে পৌরসদরের দোকানপাট। মার্কেট বন্ধে বাজার কমিটি নির্দেশনা দিলেও নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। মাঝে মাঝে প্রশাসনের তৎপরতায় জনসমাগম কমলেও পরবর্তিতে আবারো পুরোনো চিত্রে ফুটে উঠে প্রতিটি বিপনি বিতানে। সামাজিক দুরত্ব বজায়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও জনসচেতা সৃষ্টি না হওয়ায় দিনে দিনে জটিল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।

এ বিষয়ে বাজার কমিটির পৌরসদর দোকান-মালিক সমিতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রনজিৎ সাহা বলেন,‘ দোকানদারদের সাথে আলোচনা করে মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। অথচ সকল সিদ্ধান্ত অমান্য করে দোকান খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় মরনকে বরন করলে কিছু করার থাকে না। তারপরও যতদুর সম্ভব সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে যা করা দরকার তা হাতে নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।