সন্দ্বীপে রাতে গরু–ছাগল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে, সকালে চলে গেছে নিজ নিজ বাড়ী

সন্দ্বীপে রাতে গরু–ছাগল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে, সকালে চলে গেছে নিজ নিজ বাড়ী
সন্দ্বীপে রাতে গরু–ছাগল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে, সকালে চলে গেছে নিজ নিজ বাড়ী

বিশেষ প্রতিবেদক ।। 

ঘূর্ণিঝড় মোখার ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ঘোষণার পর শনিবার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকেরা মাইকিং করলে বিকেলে স্থানীয়রা গরু-ছাগল নিয়ে মুজিবকিল্লা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। রাতে তারা এখানে অবস্থান করলেও আজ রোববার সকালে তারা কিল্লা ছেড়ে বাড়ী চলে যান ।

উপজেলার মাইটভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সারকারী কর্মকর্তা হাসান মাসুম জানান , রাতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার ভয়ে কিছু মানুষ মুজিবকিল্লায় আশ্রয় নিয়েছিল। তবে সকাল হতে না হতেই তারা আবার বাড়ি ফিরে গেছে। সন্দ্বীপের মানুষ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বাড়ি ছাড়তে চায় না। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ জীবন ঝুঁকি জেনেও সম্পদ রেখে নিরাপদ আশ্রয়ে আসেনা ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা বলেন, রাতে উপকূলীয় এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এলেও সকালে আবার সবাই যে যার মতো নিজ বাড়িতে চলে গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি না হওয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে বলে জানা গেছে। আজ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে তারা আবার কিল্লায় ফিরবে হয়তো ।

তিনি জানান, সন্দ্বীপের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ গতকাল সন্ধ্যার আগেই উপকূল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজারের মতো মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। অন্য লোকজন তাদের স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;