নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে তদন্ত,বেতন পায়নি চসিকের দুই হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী - কাটছে মানবেতর জীবন

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে তদন্ত,বেতন পায়নি চসিকের দুই হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী - কাটছে মানবেতর জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের শুরু করা ‘ডোর টু ডোর’ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে । তদন্ত চলায় চসিক প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মীর বেতন বন্ধ রেখেছে সংস্থাটি। চলতি মাস শেষ হতে চললেও গতমাসের বেতন মেলেনি তাদের। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেও প্রশাসক চাইলে বেতন দিয়ে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম।

তিনি আরও জানান, ‘ডোর টু ডোর’ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে নিয়োগকৃত শ্রমিকরা ঠিকমত কাজ করেন কি না, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না-এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে তদন্ত কমিটি। একই কমিটিতে পরিচ্ছন্নতা বিভাগ ও হিসাব শাখার প্রতিনিধি রয়েছে বলে জানান তিনি।

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ‘ডোর টু ডোর’ বর্জ্য সংগ্রহ করতে ১ হাজার ৯৭২ জন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ করা হয়। তারা মূলত নগরীর বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে আরেক দফা নিয়োগের পর সেটা বেড়ে ২ হাজার ১২ জনে ঠেকেছে। এত সংখ্যত লোক আসলেই কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কাজ করতে তদন্ত কমিটি। তবে বেতন বন্ধ থাকার কারণে কষ্টে দিনাতিপাত করছে পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

এই বিষয়ে চসিকের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, তারা প্রতিদিন কাজ করছে। সেখানে অন্য কোন আয় নেই। ফলে তারা পুরোপুরি বেতনের উপর নির্ভরশীল। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পেলেও গতমাসের বেতন পাননি তারা। ফলে বেতন বন্ধের কারণে তাদের অনেক কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটিও করছে। তাই বেতন সচল রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে গেলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন এই পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা।

তবে তদন্ত চললেও দুয়েকদিনের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, বেতনের ফাইল অনুমোদন হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তাদের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।