সীতাকুণ্ডের বাজারে বাজারে সবজির লাগামহীন দাম, নেই কোনো প্রশাসনিক মনিটরিং

সীতাকুণ্ডের বাজারে বাজারে সবজির লাগামহীন দাম, নেই কোনো প্রশাসনিক মনিটরিং
সীতাকুণ্ডের বাজারে বাজারে সবজির লাগামহীন দাম, নেই কোনো প্রশাসনিক মনিটরিং

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। অন্য সময়ে দুই একটি পণ্যের দাম বাড়লেও এবার সবপন্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে সমানতালে। অনেকদিন ধরেই চলছে এ অবস্থা। এতে অসহায় দরিদ্র লোকজন পড়েছেন বিপাকে। বাজারে নেই কোনো প্রশাসনিক মনিটরিং ও নেই কোনো মূল্য তালিকা। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। ঠিক কোথায় গন্তব্য ক্ষুব্ধ মানুষ নিজদের মধ্যে বলাবলি করলেও প্রতিকার অজানা। কবে আবার ফিরবে বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা এসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন।

রোববার সীতাকুণ্ডের প্রায় বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাচাঁমরিচ ১৭০-১৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫-৫০, আলু ২৮-৩০, টমেটো ১০০-১২০, মুলা ৬০-৭০, করলা ৪০-৫০টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫, বেগুন ৬০-৭০, সিম ৬০-৭০, পটল ৪০-৫০, শসা ৫০-৬০টাকা, বাঁধা কপি ৬০ ।

বাজারে আসা সাধারণ মানুষ বলছে, দ্রব্যমূল্যের দাম একবার বাড়লেও আর কমার লক্ষণ দেখা যায় না। তাই পণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজার মনিটরিং না করলে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব না। পর্যবেক্ষণে সরকারি সংস্থাগুলো বলছেন, সবজি উৎপাদন বা সরবরাহে কোনো সংকট নেই। সব মিলিয়ে খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকার বেশি দাম হওয়ার কথা না। হঠাৎ করেই মাঝেমধ্যেই একটি করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।নিত্যপণ্যের অসহনীয় দর সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ করে করোনায় আয় রোজগার কমে যাওয়ায় মানুষকে এখনো বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কম আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, বর্তমানে আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় নেই।

সাধারণ মানুষের বক্তব্য, সরকারের পাঁচ থেকে দশটি টিম কয়েকটা বাজার পর্যবেক্ষণ করলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এজন্য পুরো বাজার ব্যবস্থাপনাকে একটি সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে। নইলে দামের হেরফের চলতেই থাকবে। তাই গরিব দরিদ্র মানুষের দৃষ্টি শুধু প্রশাসনের উপর। বাজার মনিটরিং ও মূল্যতালিকার উপর নজরদারি থাকলে একটু হলেও সস্তি মিলবে বলে ধারণা করছেন তারা ।

এ বিষয়ে ভাটিয়ারী বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী সাইদুল বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া আগে আমাদের গ্রাম থেকে সবজি আনতে যে খরচ দিতে হতো এখন তার দিগুণ দিতে হচ্ছে। সবজির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি পরিবহন খরচকে কারণ হিসেবে উল্ল্যেখ করেণ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;