সীতাকুণ্ড কাঁচাবাজারে পুলিশের মনিটরিং
পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।
সীতাকুণ্ড কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে পুলিশ।রবিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে সীতাকুণ্ড মোহন্তেরহাট মনিটরিং করেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ।
এ সময় খতিয়ে দেখা হয় অতিরিক্ত মূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে কি না। পাশাপশি বাজারে ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ , সবজির বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরেও বাড়ছে দাম। গত চার পাঁচদিনের ব্যবধানে প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার সাথে সবজির যোগানের অসামঞ্জস্যের কারণে দাম বাড়ছে। ভোক্তারা বলছেন, সবজির সরবরাহের কোনো সংকট নেই। তারপরেও রমজানের বাজার চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দাম বৃদ্ধি করছেন বিক্রেতারা।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ সীতাকুণ্ড বাজার মনিটরিং করেছি আমরা। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সীতাকুণ্ড থানা এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার, মাংসের দোকান, ডিমের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দোকানে বাজারদর মনিটরিং কার্যক্রম চালু হয়েছে।
তিনি এ সময় দোকান মালিকদের মাহে রমজানের তৎপর্য অনুধাবন করে সাধারণ জনসাধারণের কষ্টের বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি মুদির দোকানে মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে জোর তাগিদ প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পৃথকভাবে মনিটরিং করা হলেও আমরা সবাই কাজ করছি বাজারে নির্ধারিত মূল্যে সবজি ও মাছ-মাংস বিক্রি করার জন্য। কিন্তু অতিলোভী কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে সবজির মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করে থাকে। এতে অনেক ক্রেতাকে ঠোনো হচ্ছে। আমরা ওই সকল ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ধারা অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি ।
খালেদ / পোস্টকার্ড;