মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব: বাকলিয়ায় রেজাউল

মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব: বাকলিয়ায় রেজাউল
মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব: বাকলিয়ায় রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদন।।

চট্টগ্রামের বৃহত্তর বাকলিয়া এলাকার তিন ওয়ার্ডে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর সমর্থনে গণসংযোগে বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার শুরু হওয়া গণসংযোগের বিভিন্ন পথসভায় আওয়ামী লীগের এই তিন নেতা বক্তব্য দেন। পথসভায় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আধুনিক বাকলিয়া গড়তে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন, বাকলিয়াবাসীকে অতীতে বিএনপি মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিয়ে গিয়েছিল। আবার তারা এটাকে তাদের ভোট ব্যাংক বলেও দাবি করত। কিন্তু বাকলিয়ার উন্নয়নে তারা কিছুই করেনি। বাকলিয়ার মানুষ আর ধোকাবাজির ফাঁদে পড়বে না। কারণ তারা জানে, একমাত্র আওয়ামী লীগই এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছে। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ ঠকেনি। বৃহত্তর বাকলিয়াকে পরিকল্পিত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আকর্ষণীয় নান্দনিক রূপে সাজানোর সুযোগ রয়েছে, এটি আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে। বাকলিয়ার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাকলিয়াবাসী নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে বলে আমি আশাবাদী। আধুনিক হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, পার্ক ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, কর্ণফুলী তীরবর্তী পর্যটন স্পট নিয়ে বাকলিয়া হতে পারে শহরের ভেতর নতুন আরেক শহর।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ চট্টগ্রামকে বীর চট্টলা হিসেবে জানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চসিক নির্বাচনে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

এ সময় ভোটারদের উদ্দেশে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জলামগ্নতা এ এলাকার একটি চরম সমস্যা। শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। চলমান রিভার ড্রাইভ রোডসহ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগাপ্রকল্প সম্পন্ন হলে এ সমস্যার একটা সুরাহা হবে। খাল খনন, সমপ্রসারণ ও সংস্কার এবং নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে মশকের প্রজনন ক্ষেত্র অনেকটাই ধ্বংস হবে, মশার উৎপাত কমে আসবে।

এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, ১৭নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাকলিয়া কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল আলম, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নূরুল আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আহমদ হোসেন, ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ওয়র্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহীন আকতার রোজী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি প্রমূখ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।