মিলেমিশে শীতার্তদের পাশে আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ

মিলেমিশে শীতার্তদের পাশে আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ
মিলেমিশে শীতার্তদের পাশে আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ।

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ছুটে চলেছেন এক ঝাঁক তরুণ তরুণী। তারা নিজেদের তহবিল সংগ্রহ করে পাশে দাঁড়ান দুস্থ মানুষগুলোর।

২০ নভেম্বর, মধ্যরাত। কনকনে ঠান্ডা। ঘটনাস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে। শীত তাড়াতে যে যার মতো চেষ্টা করে চলেছে। কেউ আগুন জ্বেলেছে। কেউ পরনের কাপড়ে গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে। রাস্তার এক কোনায় ছেঁড়া একটি পাতলা চাদরে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছেন এক বৃদ্ধা। শীতের তীব্রতায় কাঁপছিল তাঁর শরীর। হঠাৎ উষ্ণতার ছোঁয়া। চমকে উঠলেন বৃদ্ধা। চোখ কচলিয়ে তাকিয়ে দেখেন একদল তরুণ। তাঁরাই গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন কম্বল। কৃতজ্ঞতায় বৃদ্ধার চোখ বেয়ে নেমে আসে পানি। হাত তুলে দোয়া করেন সেই তরুণদের। এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ এর স্বেচ্ছাসেবী সরোয়ার উদ্দিন, হযরত আলী, আহমেদ সাকিল, মধ্যরাতে অসহায় অনেক মানুষকে আচমকা আনন্দে ভাসিয়েছেন তাঁরা।

বরাবরের মতো এভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শীতার্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের তরুণ তরুণীদের বেশ কিছু সংগঠন। তার মধ্যে আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ পরিবার একটি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁরা বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত।

সরোয়ার উদ্দিন বলেন, ‘অসহায় মানুষগুলোর পাশে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। আমরা এগিয়ে এলে অন্যরাও আসবে।’ আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ এবার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিভিন্ন গ্রামে, এমন অসহায় মানুষদের জন্য উষ্ণতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আদর্শ ছাত্র ও যুব সমাজ পরিবারের সদস্যরা। গত ২০  নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই শীতবস্ত্র বিতরণ চলবে এক মাসের অধিক।

ভালো কাজের সঙ্গে তরুণেরা সব সময় থাকে। একজনের দেখাদেখি আরেকজন নামছে সামাজিক কাজে। এই পরিধি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;