মোরশেদ খান পুরো বিমান ভাড়া করে স্ত্রীসহ লন্ডন চলে গেলেন

মোরশেদ খান পুরো বিমান ভাড়া করে স্ত্রীসহ লন্ডন চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান পুরো বিমান ভাড়া করে দেশ ছেড়ে গেলেন। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা এই শিল্পপতি বৃহস্পতিবার বিকালে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

সূত্র জানায়, স্ত্রীসহ মোরশেদ খান বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে লন্ডনের উদ্দেশে বিমান ধরতে বাসা থেকে বের হন। পরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে স্ত্রী নাসরিন খানসহ যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মোরশেদ খান। পুরো বিমানে যাত্রী হিসেবে শুধু এই দুজনই ছিলেন।

ঢাকা শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে, শুধু দুজন যাত্রী নিয়ে চার্টার্ড ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য ঢাকা ছেড়ে যায়। মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খান সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করেন।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মোরশেদ খান।

এর আগে গত বছরের ১০ জুন সাবেক এম মোরশেদ খানের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে বিমানবন্দরের বহির্গমন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারও আগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাসরিন খানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে সে সময় বলা হয়, এম মোরশেদ খান সপরিবারে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকানো দরকার।

টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে এবি ব্যাংকের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার বনানী থানায় মোরশেদ খানসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করে। অন্য আসামিরা এবি ব্যাংক ও টেলি কোম্পানিটির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

মামলার তথ্য অনুসারে, মোরশেদ খান এবি ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালে তার কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ওই ব্যাংককে গ্যারান্টার (জামিনদার) করে আটটি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সময়মতো পরিশোধ না করায় তা সুদে-আসলে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। ঋণদাতা আট প্রতিষ্ঠানকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে এবি ব্যাংক মহাখালী শাখা।