জামিন পেলেন পারভেজ উদ্দীন সান্টু

জামিন পেলেন পারভেজ উদ্দীন সান্টু
জামিন পেলেন পারভেজ উদ্দীন সান্টু

বিশেষ প্রতিবেদক।।

সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টু জামিন পেয়েছেন।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ৫ লাখ টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল আদালতে সান্টুর জামিন আবেদন করেন।

তিনি বলেন, ৫ লক্ষ টাকা বন্ডে পারভেজ উদ্দিন সান্টু জামিন লাভ করেছেন। সিজেএম আদালতের বিচারক তাকে জামিন দিয়েছেন।

গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় নগরীর জিইসি এলাকা থেকে শিল্প পুলিশের একটি দল সীমা অক্সিজেন প্লান্টের মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরদিন কোমরে দড়ি বেঁধে সান্টুকে আদালতে তোলা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ সান্টুর কোমরে দড়ি বাঁধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

পরে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশন প্রতিবাদ সভা করে সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন প্লান্ট বন্ধের ঘোষণা দেয়। একইসাথে চট্টগ্রাম শহরে বিশাল মানববন্ধনের ডাক দেয় সংগঠনটি। কিন্তু একদিন অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা হলেও মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনের নেতারা। সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

গ্রেপ্তারের পর সান্টুকে আদালতে তোলা হলে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

গত ১৯ মার্চ পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে আদালতে তোলা হয়। সেসময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেননি।

আজ বুধবার বিকেলে পারভেজ উদ্দিন সান্টুর জামিননামা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর তিনি মুক্তি পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুল কাদির নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

শিল্প পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনায় যে মামলায় তাকে আদালতে নিয়েছে ওই মামলার বাদীসহ অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারি নিয়ম অনুসারে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ টাকা পাওয়ার নীতিমালা থাকলেও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে মালিকপক্ষ ১০ লক্ষ টাকা করে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন । এছাড়া যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদেরকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয় । 

খালেদ / পোস্টকার্ড;