মাথার যন্ত্রণা, কাঁপুনি? এ গুলোও করোনার উপসর্গ হতে পারে : মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা

মাথার যন্ত্রণা, কাঁপুনি? এ গুলোও করোনার উপসর্গ হতে পারে : মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা

পোস্টকার্ড স্বাস্থ্য ডেস্ক ।।

প্রাণঘাতী করোনার উপসর্গ হিসাবে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, ক্লান্তিবোধ ইত্যাদিকে আগেই চিহ্নিত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এ বার ওই অতিমারির নতুন কয়েকটি উপসর্গের সন্ধান দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। তাদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে, কাঁপুনি, পেশির যন্ত্রণা, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গগুলিও। সেই সঙ্গে স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়াকেও করোনার উপসর্গ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন সিডিসি-র গবেষকরা। এ সব লক্ষণের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যেতে পারে বলে মনে করছে আমেরিকার ওই সংস্থাটি।

কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা যাবে? হু আগেই জানিয়ে দিয়েছিল করোনা হলে জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নিয়ে সমস্যা হওয়া, ক্লান্তিবোধ দেখা দেবে। সেই সঙ্গে যন্ত্রণা ও ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা এবং ডায়েরিয়ার মতো লক্ষণও করোনা রোগীর শরীরে ফুটে উঠবে। এই সব উপসর্গের কথা হু-এর ওয়েবসাইটেও লেখা রয়েছে। এত দিন একই কথা বলে আসছিল সিডিসি-ও।  কিন্তু এ বার হু-এর সেই তালিকা আরও দীর্ঘ করল তারা। সংস্থাটির দাবি, যাঁরা করোনায় অল্প আক্রান্ত বা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ভাইরাসটি শরীরের দখল নেওয়ার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নানা লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে। কী কী সেই লক্ষণ? সিডিসি-র মতে, করোনা রোগীর দফায় দফায় কাঁপুনি বোধ হতে পারে। সেই সঙ্গে রোগীর পেশি ও মাথার যন্ত্রণা দেখা দেবে। এ ছাড়া রোগীর স্বাদ ও গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতাও সাময়িক ভাবে চলে যেতে পারে। করোনায় স্বাদ ও ঘ্রাণ নেওয়ার অনুভূতি চলে যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন এক দল ব্রিটিশ চিকিৎসক।

আমেরিকার ওই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সংস্থাটির দাবি, গোটা দুনিয়ার করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তাঁরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমেই উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে তারা এ-ও জানিয়েছে এ গুলি করোনার এক মাত্র উপসর্গ নয়। এ ছাড়াও ভিন্ন কোনও লক্ষণ দেখলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

গোটা দুনিয়ায় এই মুহূর্তে ১৮৫টি দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি মানুষের। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি আমেরিকার। সেখানে ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার মানুষের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। -  সংবাদ সংস্থা