মুক্ত সংবাদমাধ্যম গুজব মহামারীর প্রতিষেধক- জাতিসংঘ মহাসচিব

মুক্ত সংবাদমাধ্যম গুজব মহামারীর প্রতিষেধক- জাতিসংঘ মহাসচিব
মুক্ত সংবাদমাধ্যম গুজব মহামারীর প্রতিষেধক- জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনার এই সময়ে সংবাদমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা না দিয়ে বরং শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস।

‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ উপলক্ষে গতকাল রোববার এক বার্তায় তিনি বলেছেন, সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মানুষকে জানানোর গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে যাচ্ছেন। বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছে, সেই সিদ্ধান্তগুলো জীবন-মৃত্যুর প্রশ্নে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে আমরা সরকারগুলোর পাশাপাশি সবার প্রতি আহ্বান জানাই, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে এবং অন্য সময় সাংবাদিকরা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা আপনারা নিশ্চিত করুন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, একদিকে যখন বিশ্বে ভাইরাসের মহামারী চলছে, তখন ভুল তথ্য, ক্ষতিকর স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং উদ্ভট ষড়যন্ত্র তত্ত্বের এক দ্বিতীয় ঢেউ ‘মহামারীর মত’ ছড়িয়ে পড়ছে। সেই মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতিষেধক হল মুক্ত সংবাদমাধ্যম, যারা যাচাই করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে সাংবাদিকদের অনেককে ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, অনেক সাংবাদিককে শাস্তি পেতে হচ্ছে কেবল তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য।

গুতেরেস বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়তে চলাফেরার স্বাধীনতায় সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ জরুরি হতে পারে। কিন্তু সেই অজুহাতে সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা খর্ব করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আজ আমরা গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা সকল ক্ষেত্রের শীর্ষ নেতৃত্বকে জবাবদিহির মুখোমুখি করছেন, ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্যটি তুলে ধরছেন। আমরা বিশেষভাবে তাদের কথা বলতে চাই, যারা জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সাংবাদিকতার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব তার বার্তায় বলেন, আমরা সরকারগুলোর উদ্দেশে বলতে চাই, গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দিন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখুন, জোরদার করুন। ভবিষ্যতের শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য এটা অপরিহার্য।