মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১০২৯ , আহত ৩৫৯৪ জন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

দেশে চলতি বছরের মে মাসে ৪ হাজার ৬৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ জন এবং নিহত হয়েছেন এক হাজার ২৯ জন। নিহতদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৭৭২ জন। এর মধ্যে ৪৪৪ জনই শিক্ষার্থী। অন্যদিকে নিহতদের মধ্যে ২৪১ জন নারী, ৯৭ জন শিশু এবং ৮১ জন বৃদ্ধা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড’র মহাসচিব শান্তা ফারজানার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের ২৬ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রচারিত তথ্য ও সেভ দ্য রোড স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এই পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে সংগঠনটির পক্ষে বলা হয়েছে, দ্রুত গতিতে চালানোর পাশাপাশি নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে মোটর সাইকেলে এক হাজার ৩৬৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৯৯৪ এবং নিহত হয়েছেন ২৭৫ জন। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে, ক্লান্ত হয়ে এবং দ্রুত চালানোর কারণে ৮৩২ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৩৭ এবং নিহত হয়েছে ১২১ জন। খানা-খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে এক হাজার ১১৬ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ১০৬ জন এবং নিহত হয়েছে ৫২০ জন। পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি, পিকআপ, নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, সাইকেল ও সিএনজিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ১১৬ টি, এতে আহত হয়েছেন ৮৫৭ জন এবং নিহত হয়েছেন ২২২ জন। অন্যদিকে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৪ টি। এতে আহত হয়েছেন ৫২১ জন এবং নিহত হয়েছে ২৩ জন। রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১২ টি, এতে আহত হয়েছে ২৮৬ জন ও নিহত হয়েছে ২১ জন। তবে আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৫৬ জনকে। শিক্ষার্থী এবং তরুণদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালানো ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। অন্যান্য বাহনগুলোতেও প্রায় একই সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। নির্ধারিত গতির চেয়েও অনেক বেশি গতিতে চলার কারণে প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সব বাহনের অধিকাংশ চালকের বয়সই ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;