ভারী বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ

ভারী বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ
ভারী বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ

উপজেলা প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড।। 

সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আর তা হয়েছে ভারী বৃষ্টির কারণে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়ি, পুকুর, রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর, ফসলের মাঠ। ভেঙে গেছে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সীতাকুণ্ডে গত রোববার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। একটানা বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ড পৌরসভা, বারৈয়াঢালা ইউপি, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, ভাটিয়ারী, সলিমপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও মিল কারখানা ডুবে গেছে। বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চলে বসতঘরে হাঁটু সমান পানি ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অনেকের ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নষ্ট হয়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। রান্নাবান্না করতে না পেরে অনেকে শুকনো রুটি খেয়ে দিন পার করে দিয়েছে।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী জানান, গত দুইদিনের বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। এতে বাড়িঘর ও ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখনও অনেক বসতঘর থেকে পানি নামেনি।

পৌর মেয়র বদিউল আলম জানান, অবিরাম বর্ষণে পৌর এলাকার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে পানি ঢুকে গেছে। শাকসবজি ও সবেমাত্র রোপিত আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে পৌরসভার শিবপুর, ইদিলপুর ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার জন্য বশরতনগরে অবস্থিত অকেজো রাবার ড্যামকে দোষারোপ করছেন। তারা বলেন, এ রাবার ড্যাম আমাদের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কোনো কাজে আসছে না। এটা অনেকদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটা আমাদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ড্যামটি নিষ্কাশন করলে জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।