ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান'র বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ মাসেও ওয়ারিশ সনদ না দেওয়ার অভিযোগ!

ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান'র বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ মাসেও ওয়ারিশ সনদ না দেওয়ার অভিযোগ!
 সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান'র বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ মাসেও ওয়ারিশ সনদ না দেওয়ার অভিযোগ!

বিশেষ প্রতিবেদক ।। 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । আদালত তার কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ তলব করলেও তোয়াক্কা করেননি তিনি। এমনকি মামলার ৭ কার্য দিবস পার হয়ে গেলেও ওয়ারিশ সনদ দাখিল করেননি। আদেশ না মানায় তাকে শোকজ করেছেন আদালত। আগামী ১৪ আগস্ট তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদেশে চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের পেশকার রেজাউল করিম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মেসার্স এস. এ. আয়রন মার্ট নামক প্রতিষ্ঠানটির মালিক ভাটিয়ারীর বাসিন্দা মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে মোহাম্মদ শাহ আলম ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতে ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ২২ টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মামলা দায়ের করে সাউথইস্ট ব্যাংকের মাদাম বিবিরহাট শাখা। ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মামলার ২ নম্বর বিবাদীর মৃত্যুর বিষয়টি বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতকে অবগত করেছেন এবং বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মৃত মোহাম্মদ শাহ আলমের ওয়ারিশগণকে মামলার পক্ষ করার আবেদন করা হয়। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীনের কাছে মৃত মোহাম্মদ শাহ আলমের ওয়ারিশ সনদ তলব করেন আদালত। এরপর ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও ওয়ারিশ সনদ দেননি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন। আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীনকে শোকজ করেছেন আদালত। তাকে আগামী ১৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বলেন, আমি ইতিপূর্বে আদালত থেকে কোনো নোটিশ পাইনি। তবে ব্যাংক থেকে একটি নোটিশ পেয়েছি। আমাকে আদালত শোকজ করলে আমি আদালতকে উপস্থিত হয়ে জবাব দেব৷

তিনি আরও বলেন, কার ওয়ারিশ কে কে তা বের করার দায়িত্ব আমার নয়। ওয়ারিশ সনদ পাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সে অনুযায়ী আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের মতামতসহ যাচাই-বাছাই করে আমরা দিয়ে থাকি। ১১ মাস ধরে ওয়ারিশ সনদ না দেয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি। সূত্র. একুশে পত্রিকা 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;