বিএনপি কার্যালয়ে মজুদ রাখা হাত বোমা বিস্ফোরণ , বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল

বিএনপি  কার্যালয়ে মজুদ রাখা হাত বোমা বিস্ফোরণ , বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল
বিএনপি কার্যালয়ে মজুদ রাখা হাত বোমা বিস্ফোরণ , বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা ।।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে বিএনপি কার্যালয়ে মজুদ রাখা একটি হাত বোমার বিস্ফোরণের পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে থলের বিড়াল। নিজেদের তৈরি ওই হাত বোমার বিস্ফোরণের কারণেই ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে দলটির নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

পরবর্তীতে তল্লাশির সময় পরিকল্পিত ভয়াবহ নাশকতার সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে এসব হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। পাঁচ পুলিশ সদস্য, তিনজন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, দলীয় কার্যালয়ে মজুদ অসংখ্য বোমার মধ্য থেকে হঠাৎ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তখন নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের গুলি ভেবে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারে। ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। এমনকি চালায় গুলি।

বিএনপি সন্ত্রাসী বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে নিহত হয় মকবুল হোসেন নামে একজন পথচারী। পরবর্তীতে তাকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে দলটির নেতারা।

অথচ স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মকবুলের স্ত্রী হালিমা জানায়, তার স্বামী জুতার কারচুপির (নকশা) ব্যবসা করতেন। কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। জুতার কারচুপির (নকশা) পুঁতি কিনতে বোনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ঢাকায় এসে নয়াপল্টনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তার স্বামী।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর হাত বোমার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। যার মধ্যে বিস্ফোরিত বোমাও ছিল কয়েকটি। আর এ বিস্ফোরণের ফলেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের আগেই পরিকল্পিত নাশকতার সরঞ্জাম উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি এখন খুব স্পষ্ট যে, ১০ ডিসেম্বর নাশকতার জন্য দলীয় কার্যালয়ে বোমা মজুদ রাখায় বিএনপি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হলো, বিএনপি মানুষ মারার রাজনীতি থেকে কখনোই বেরিয়ে আসবে না। এদের কাছে জনগণের জানমাল কখনোই নিরাপদ ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;