প্রবাসীদের জন্য করোনার ক্রান্তিকালে বিশেষ সহযোগীতা প্যাকেজ

প্রবাসীদের জন্য করোনার ক্রান্তিকালে বিশেষ সহযোগীতা প্যাকেজ
প্রবাসীদের জন্য করোনার ক্রান্তিকালে বিশেষ সহযোগীতা প্যাকেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাণঘাতী করোনার এই ক্রান্তিকালে দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সহযোগীতা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে ৩ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার হবে। পাশাপাশি চাকরি হারিয়ে কোনো কর্মী দেশে ফিরলে তাদের ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। শুধু তাই নয় প্রবাসী কর্মীরা বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত খরচ বাবদ পাবেন ৫ হাজার টাকা।

বুধবার বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের ফেরত আনা নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এই সংকটময় মুহুর্তে কুয়েতকে সহায়তা করার জন্য কিছু মেডিকেল সরঞ্জাম এবং ওষুধসহ সশস্ত্র বাহিনীর একটি মেডিকেল দল পাঠানো হবে। এছাড়াও বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপ সরকারের কাছে খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আরও কিছু পণ্য পাঠাচ্ছে। খুব শিশগগিরই ভুটানে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হবে জানিয়ে বলা হয়, প্রয়োজন মতো অন্যান্য দেশেও এ ধরনের সরঞ্জাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রায় ৪ হাজার ব্যক্তির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির জন্য কাজ করছে। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোসহ বিদেশ থেকে ফেরত আসাদের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্য এএফডি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

এসময় জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে কাজ চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রত্যাবাসন, জাতীয়তা যাচাইকরণ, পৃথকীকরণ, প্রবাসীদের ত্রাণ, বিভাগের মধ্যে সমন্বয়, বন্ধু দেশে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রেরণ, প্রত্যাবাসন পরবর্তী প্রস্তুতি ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল প্রবাসীদের দেশে ফেরত আনা সম্পর্কিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম বৈঠকটি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ও দ্বিতীয় বেঠকটি ৯ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।