প্রধানমন্ত্রী উন্মোচন করলেন বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বইয়ের মোড়ক

প্রধানমন্ত্রী উন্মোচন করলেন বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বইয়ের মোড়ক
প্রধানমন্ত্রী উন্মোচন করলেন বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বইয়ের মোড়ক

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

আজ বিকালে বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অমর একুশের গ্রন্থমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এ সময় শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ও বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন।

এবারের গ্রন্থমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্বদিকের দেওয়াল ঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে অন্য প্রকাশকদের বই বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা যখন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, তখন তিনি বাংলা একাডেমিতে প্রথম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র আয়োজন সম্পন্ন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বইমেলা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়।

এবার বইমেলার পরিসর বাড়ছে। আয়োজনেও আসছে নানা নতুন পরিবর্তন। কেমন হবে নতুন এই বইমেলা? বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বইমেলা আমাদের চেতনার অংশ। সেই চেতনা এবং স্বপ্নকে প্রতিভাত করার জন্য জাতির পিতাকে এই বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সৃজনশীলতার সমন্বয়ে মেলাটি চলবে। প্রতিদিন যে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে সেটা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। আমরা নানা মাপে, নানা মাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আয়োজকরা জানান, এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো গ্রন্থমেলার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা বইমেলা সবার জন্য খোলা। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেগুলো হলো শিখর, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন।

এবারের মেলার পরিসর বৃদ্ধি করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে মেলার পরিধি বৃদ্ধি করে ৮ লাখ বর্গফুট করা হয়। এ বছর একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি ইউনিট; মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৪৬৫টি।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে , প্রতি বছরের মতো এবারও হুইল-চেয়ার সেবা থাকবে। তবে গতবারের চেয়ে বেশি সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবী এ-কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এবার হুইল চেয়ারের সংখ্যা বাড়বে।

গ্রন্থমেলা ২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯ টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা ৩০মিনিট পর্যন্ত মেলা চলবে।

মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এ ছাড়া মেলায় আগত মানুষের বসার স্থানসহ নান্দনিক ফুলের বাগানও নির্মাণ করা হয়েছে।