পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে গণপূর্তের ১৩ প্রকৌশলী গ্রেপ্তার

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে গণপূর্তের ১৩ প্রকৌশলী গ্রেপ্তার
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে গণপূর্তের ১৩ প্রকৌশলী গ্রেপ্তার

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক  ।।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় অংশ নেয়া দুদকের এক কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের খবর শুনেছি। তবে এখন অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। জানতে পারলে জানাব।’

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আহমেদ সাজ্জাদ খান, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান, আমিনুল ইসলাম, ঠিকাদার আসিফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।

এর আগে নভম্বরের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ পর্যন্ত গণপূর্তের ২৯ প্রৌকশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এদের মধ্যেই ১৩ প্রৌকশলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ আছে, রুপপুর পরমাণুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আাবাসন প্রকল্পে কেনাকাটায় দুর্নীতির সাথে এরা জড়িত। বালিশকাণ্ডে ঘটনায় ৪টি মামলায় হয় পাবনার দুদকে।

অভিযোগে বলা হয়, রুপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। একইভাবে টেলিভিশন, খাট, রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।

এরইমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। যেখানে চুক্তিমূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি সরকারি কোষাগারে ফেরত আনতে সুপারিশসহ বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।