নতুন করে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নয়

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

নতুন করে ত্রিপুরা থেকে  বিদ্যুৎ আমদানি নয়
নতুন করে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নয়

ভারতের ত্রিপুরা থেকে আর নতুন করে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

সভায় উপস্থিতিদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ভারতের দুদেশের বিদ্যুৎ সচিব অংশ নেন।

জানা গেছে, বৈঠকে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে ব্যাক টু ব্যাক হাই ভোল্টেজ সাবস্টেশন (এইচএসভিডিসি) নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। বাংলাদেশ এখন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। ব্যয়বহুল সাবস্টেশন করা যৌক্তিক নয়। কুমিল্লা এলাকায় প্রচুর গ্যাস আছে। প্রয়োজনে সেখানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে। ত্রিপুরা থেকে এখন যে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে এর বাইরে আর বিদ্যুৎ আনবে না বাংলাদেশ।

সভা শেষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করেছি।  যেগুলো নিয়ে কাজ করলে উভয় দেশ লাভবান হবে।’

ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, ‘দ্রুত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’  তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বিষয়ে তিনি উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সভায় ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিরাজমান বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগের সভায় পার্বতীপুর দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার চিন্তা করা হলেও এখন সৈয়দপুরের পূর্ব সাদিপুর দিয়ে যুক্ত করতে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে প্রস্তাবিত কাটিহার-পাবতীপুর-বরাননগর ৭৬৫ কেভি লাইন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা যায় কিনা সে বিষয়ে একটি কারিগরি সমীক্ষা হবে।