নগরবাসীর তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে না , মোবাইল অ্যাপেই মিলবে নাগরিক তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

নগরবাসীর তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে না , মোবাইল অ্যাপেই মিলবে নাগরিক তথ্য
নগরবাসীর তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে না , মোবাইল অ্যাপেই মিলবে নাগরিক তথ্য

এখন আর পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করতে হবে না। সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে এখন থেকে নাগরিকরা নিজেদের মোবাইল ফোনেই পুলিশকে নাগরিক তথ্যভাণ্ডারের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারবেন। পরে থানা পুলিশের গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের পর এসব তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করবে।

আজ সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অ্যাপটি উদ্বোধন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সোমবার থেকে অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। নাগরিকরা অ্যাপটি নিজেদের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এর বাস্তব একটি প্রয়োগ হচ্ছে ডিএমপির সিআইএমএস মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।

তিনি বলেন, আগে থানা পুলিশ ম্যানুয়ালি নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করত। পরে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমরা সিস্টেমে এন্ট্রি দিতাম। এতে লোকবল ও সময় দু’টিই বেশি লাগত।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানে মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার পর ঢাকা মহানগরীতে তেমন কোনো বড় ধরনের জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে ওঠেনি এবং জঙ্গিরা আস্তানা তৈরি করতে পারেনি। এর অন্যতম একটি কারণ হল, নাগরিক ডাটাবেজ থাকার কারণে জঙ্গিরা ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি বা অবস্থান করতে পারেনি। অপরাধ ডিটেকশন এবং প্রিভেনশনের ক্ষেত্রে এ তথ্যভাণ্ডার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি ও চাঁদাবাজি দমনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন,ঢাকা মহানগরীর ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য আমাদের এ সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে, এখন আমরা যে সিআইএমএস তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছি এর কারণে নগরীতে কেউ নিজের পরিচয় লুকিয়ে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি এবং বাসা তৈরিও করতে পারেন না। কোনো বাসায় যদি অপরাধ করে অপরাধী পালিয়ে যায় তাহলে আমরা নাগরিক তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে তাকে সহজেই চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে পারি।