দৈনিক সময়ের আলো সংবাদমাধ্যমে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরে পরিণত হবে: প্রধান সম্পাদক নিহাদ

দৈনিক সময়ের আলো সংবাদমাধ্যমে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরে পরিণত হবে: প্রধান সম্পাদক নিহাদ
দৈনিক সময়ের আলো সংবাদমাধ্যমে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরে পরিণত হবে: প্রধান সম্পাদক নিহাদ

বিশেষ প্রতিবেদক।।

দৈনিক সময়ের আলোর প্রধান সম্পাদক ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমজানুল হক নিহাদ বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরে পরিণত হবে সময়ের আলো। জাতির সত্যিকারের বিবেক হবে এখানের সাংবাদিকরা। মানুষের ও দেশের কল্যাণই আমাদের উদ্দেশ্য। সেই স্বপ্নের স্বারথি হিসাবে কাজ করবে সময়ের আলোর কর্মীরা।  রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কাকরাইল মোড় এলাকায় আইডিবি ইনস্টিটিউটে সময়ের আলোর ২য় প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সময়ের আলোর নির্বাহী সম্পাদক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন নগর সম্পাদক শাহনেওয়াজ করিম।

রমজানুল হক নিহাদ লিখিত বক্তব্যে জানান, দেশের শীর্ষ আবাসন প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় যাত্রা শুরু করে সময়ের আলো। দেখতে দেখতে চার বছর পেরিয়ে পাঁচ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে দৈনিক সময়ের আলো। আর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে সময়ের আলো প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। 

তিনি সময়ের আলো প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারাই হলেন সময়ের আলোর প্রাণ। আপনারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবর তুলে আনেন। চষে বেড়ান প্রতিটি জনপদ। আর আপনাদের পাঠানো খবরই সময়ের আলো পৌছে দেয় পাঠকের কাছে। আপনাদের মেধা ও শ্রমেই এত দূর এগিয়ে এসেছে দৈনিকটি। কিন্তু আমরা এখানেই থামব না । আমাদের যেতে হবে আরও বহু দূর।

সময়ের আলোর অনলাইনে উপর গুরুত্ব দিয়ে রমজানুল হক নিহাদ বলেন, আপনারা জানেন- এখন ডিজিটাল সময়। অনলাইনের যুগ। প্রধানমন্ত্রী আরও একধাপ এগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও সেই যাত্রায় সঙ্গী হতে প্রস্তুত। তাই সময়ের আলো অনলাইনের ওপর এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সময়ের আলো হবে প্রিন্ট ও অনলাইনের সমন্বয়ে একটি পরিপূর্ণ মাল্টিমিডিয়া বা স্মার্ট গণমাধ্যম। আপনারা সেখানে অবদান রাখছেন। তবে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আরও দক্ষ এবং সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় থাকতে হবে। অনলাইনই হবে আগামীর সংবাদমাধ্যম। সে জন্য আপনাদের আরও প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা সময়ের আলো পাশে ছিল উল্লেখ করে প্রধান সম্পাদক বলেন, করোনায় সময় আমরা সময়ের আলোর তখনকার প্রধান প্রতিবেদক হামায়ূন কবির খোকন ও সিনিয়র সহ-সম্পাদক মাহমুদুল হাকিমকে হারিয়েছি। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন সিনিয়র রিপোর্টার হাবীব রহমান। সময়ের আলোর জন্য তাদের অবদান আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। তাদের মত্যুতে সময়ের আলো এবং আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাফিক ডিজাইনার মোহাম্মদ বখতিয়ার হোসেনের চিকিৎসার সব ব্যয়ভারও বহন করা হয়েছে। করোনাকালেও সময়ের আলোর সবাইকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হয়েছে। কখনো এই প্রতিষ্ঠানের কাউক ছাঁটাই করা হয়নি। আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সব সময়েই সময়ের আলো এবং এর কর্মীদের সঙ্গে আছে, থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চাওয়া হলো- সময়ের আলো যেন গ্রুপের এবং সংবাদমাধ্যমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরে পরিণত হয়। সময়ের আলোর সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীরা যেন জাতির সত্যিকারের বিবেক হন। মানুষের কল্যাণ এবং দেশের কল্যাণই আমাদের উদ্দেশ্য। আশা করি, আপানারা সেই স্বপ্নের সারথি হয়ে থাকবেন।

সময়ের আলো নির্বাহী সম্পাদক হারুন আর রশিদ  বলেন, সময়ের আলোর প্রতিনিধি সম্মেলন প্রতিবছর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। প্রতিবছর আমরা একসঙ্গে সবার সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শুনবো। প্রতিনিধি সম্মেলন হলো প্রাণ খুলে কথা বলা। যেখানে প্রাণ খুলে কথা বলা যায় না, সেখানে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, অনেক সমস্যা রয়েছে, কিন্ত আন্তরিকতার অভাব নেই। তাই আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবো৷ 

সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায় বলেন, জ্ঞানীরা কথা কম বলবে, আর কাজ বেশি করবে৷ কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে তা হয় না। আমাদের অনেক বেশি কথাও বলতে হবে, কাজও করতে হবে। তাই সময়ের আলোর প্রতিনিধি সম্মেলনে সবাই প্রাণ খুলে কথা বলবেন এবং সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। 

সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ বলেন, সময়ের আলোর যারা এলাকায় কাজ করে তাদের ক্রাইম, স্পোর্টস, অর্থনৈতিক, সংবাদ সম্মেলনেসহ সব নিউজ কভার করতে হয়। মফস্বলে যারা কাজ করে তারা একএকজন সম্পাদকের ভুমিকায় কাজ করে। তাদের পাশে সময়ের আলো আছে, থাকবে। 

এসময় সময়ের আলোর প্রতিনিধি সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলো মার্কেটিং বিভাগের প্রধান কামরুল ইসলাম, সার্কুলেশন বিভাগের প্রধান মোকাদ্দেস হোসেন, বিশেষ প্রতিবেদক আলমগীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম সবুজসহ সময়ের আলোর সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীরা। 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;