ঢাকায় মহাসমাবেশে কর্মী সংকটের শঙ্কা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার

ঢাকায় মহাসমাবেশে কর্মী সংকটের শঙ্কা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার
ঢাকায় মহাসমাবেশে কর্মী সংকটের শঙ্কা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার

রাজনৈতিক ডেস্ক ।।    

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। যদিও দেশের অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশগুলো ফ্লপ হবার পর ঢাকাতে কর্মী সংকট হবার ভয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তারা। এরই মধ্যে সমাবেশে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে, এই আশংকা থেকে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বাহিনী সম্পর্কে গুজব ছড়ানো শুরু করেছে বিএনপি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজে লিখা হচ্ছে, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে নাকি সেনাবাহিনীকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। যেটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা একটি তথ্য। উক্ত স্ট্যাটাসগুলোতে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী থেকে নাকি বলা হয়েছে, তারা কারো বুকে গুলি চালাবে না। যদিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিভ্রান্তি ছড়ানো সেসব স্ট্যাটাসে তথ্য সূত্র হিসেবে একজন মেজর উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও তথ্যসূত্রে কোনো মেজরের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটি বানোয়াট একটি তথ্য। কোনো তথ্যের সোর্স একজন মেজর হতে পারে না। এছাড়া এই মেজরের কোনো নামও দেয়া নেই। যা প্রমাণ করে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এমনটি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখা যাবে, তাই বিশ্বাস করা বর্তমানে বোকামি।

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করার অর্থই হচ্ছে, বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস। এটি শুভ লক্ষণ নয়। বিদেশে বসে উস্কানিমূলক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বিএনপিকে বন্ধ করতে হবে। এভাবে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা না করে, বিএনপির উচিত হবে, দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হবার চেষ্টা করা। বিএনপির মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় আসা যায় না।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;