টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্রোন উড়িয়ে ডাকাতের আস্তানা শনাক্ত ও ধ্বংস

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আশপাশের পাহাড় এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে ডাকাতের আস্তানা শনাক্ত করে তা ধ্বংস করেছে র‌্যাব। এসব আস্তানায় অবস্থান করে দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে জানিয়েছে তারা। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আশপাশের পাহাড়ে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৫।

র‌্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনর্চাজ লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে গহীন পাহাড়ের ভেতরে ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পায় ড্রোন। পরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আস্তানাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আব্দুল হাকিমসহ বাকি ডাকাতদের খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় কয়েকজন ডাকাতকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অন্যরা শিগগিরই ধরা পড়বে। মলে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব আরও বলেন, টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুড়া ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ত্রাস ডাকাত মোহাম্মদ জকির, কালা সলিম, নুর কামাল, বুইল্লা, রাজ্জাক ও আমিনসহ তাদের গ্রুপের সদস্যরা পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এদের সর্দার রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। তাদের ধরতে র‌্যাব এই অভিযান পরিচালনা চালায়। তাদের চার-পাঁচটি আস্তানা ধ্বংস করলেও কাউকে আটক করা যায়নি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র‌্যার ড্রোন নিয়ে টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায়।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নয়াপাড়া শালবাগান ত্রাস কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সরদার এবং আনসার বাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার হত্যার আসামি নুর আলম প্রকাশ জুবাইর ডাকাত নিহত হন।