জিয়া-খালেদার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন : দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার প্রতি তথ্যমন্ত্রী

জিয়া-খালেদার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন : দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার প্রতি তথ্যমন্ত্রী
জিয়া-খালেদার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন : দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার প্রতি তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা ।।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্মম বর্বরতার শিকার ও তাদের স্বজনদের কান্না ও আর্তনাদ শোনার আহবান জানাই। সেটি সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে এবং অবশ্যই এ অপরাধের বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২০১৩-১৪-১৫ সালে পেট্রোলবোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সংগঠন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ এবং ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে বিনা বিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

‘নামের মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে আর্তনাদ করেছে যে, আমি নই-আমি নই, এটা আমি নই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।’

মানববন্ধনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর এবং বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন পুত্রহারা মমতাজ বেগম, অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ সার্জেন্ট কামাল পাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি এড. জেসমিন সুলতানা, ঢাবি’র ফার্মাসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ‘মায়ের কান্না’র উপদেষ্টা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদে’র আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বাবু, ‘মায়ের কান্না’র আহবায়ক কামরুজ্জামান লেলিন, মানববন্ধন সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।

ইইউ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ:

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য রিকার্ডো কেলেরি, দিমিত্রা আয়ানো এবং ক্রিস্টিনা ডোস রামোস আলভেস সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দফতরে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা দেশের গণমাধ্যম আমাদের মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের গণমাধ্যম মূলত বেসরকারি। বাংলাদেশ টেলিভিশন আর ৩৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এখন সম্প্রচারে আছে। বাংলাদেশ বেতার ছাড়া সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা, কয়েক হাজার অনলাইন, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও সবই বেসরকারি।

সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর ফলে অনেক সময় যে হানাহানি হয় সে জন্য সেই প্লাটফর্মের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বছরের গোড়াতে আইন সংশোধন করে বলেছে, প্রত্যেক সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মকে ইউরোপে রেজিস্টার্ড হতে হবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;