চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় আ. লীগ

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় আ. লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহীদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে । নগরীর ৪১ সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে নগরীর ৪৯ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্র্থীর ছড়াছড়ি। খোদ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কাউন্সিলর নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন। এক পক্ষের অভিযোগ কাউন্সিলর মনোনয়নের ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগ কিছুই জানে না। নগর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মতামত নেয়া হয়নি। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানান গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর পদের নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হতে পারে। যাতে করে সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে বাছাই শেষে এখন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ২১১জন। অপরদিকে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৮ জন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করা মনোনয়নপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫৫টি ওয়ার্ডের (সাধারণ ৪১ ও সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ড) মধ্যে ৪৯টি ওয়ার্ডেই গড়ে অন্তত চারজন আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে ৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। এর মধ্যে পূর্ব ষোলশহর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী। এই ৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্র্থী নেই।

অপরদিকে ১২ নম্বর (২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আফরোজা জহুর ও ১৪ নম্বর (৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শাহানুর বেগম দলীয় সমর্থিত একক প্রার্থী। তাদের দুই ওয়ার্ডেও আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। গত ২ মার্চ যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন প্রকাশ্যে দলীয় কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক পক্ষ চাচ্ছেন দলীয় সমর্থন পাওয়া কাউন্সিলররা ছাড়া বিদ্রোহীদের চাপের মুখে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেয়া হবে। এজন্য আগামীকাল ৫ মার্চ বিদ্রোহী প্রাথীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বসবেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ চাচ্ছেন যেহেতু কেন্দ্র থেকে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে (মহানগরের মতামত ছাড়া) সেহেতু কেন্দ্র থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।