চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন

নাইমাতুল আলী, চবি প্রতিনিধি ।।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ((চবি দিবস) বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনায় শুক্রবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে উপস্থিত সকলে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১১টায় চবি জারুলতলায় শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা পর্বের শুরুতে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না। এটি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন দেন। এরপর তিনি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে বলেন, স্যার স্বায়ত্তশাসন তো দিলাম, আপনারা কি রক্ষা করতে পারবেন? আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ৫০ বছর যুক্ত। আমি ভেতর থেকেই বলতে চাই আমরা তা রক্ষা করতে পারিনি।

ড. মুনতাসির মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে আদর্শ স্থাপন করার জন্য। এই আদর্শ নিয়ে অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান-গবেষণার অন্যতম তীর্থস্থান। দেশে বহুমাত্রিক দক্ষতা সম্পন্ন যোগ্য ও আলোকিত মানবসম্পদ তৈরিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিরিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। এছাড়া অতিথি ছিলেন চবি সাবেক উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সাবেক চাকসু ভিপি মাজহারুল হক শাহ ও চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ও ৫৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রক্টর মরিয়ম ইসলাম। এছাড়া বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড;