গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকার বিশ্বাস করে : তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকার বিশ্বাস করে : তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকার বিশ্বাস করে : তথ্যমন্ত্রী

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি অবাধ ও মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে  ।

৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে এক ভিডিও বার্তায় তিনি সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিস্তৃতিগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে ৪৪৫টি দৈনিক পত্রিকা, ২০৮টি সাপ্তাহিক পত্রিকা, দুইটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, ১০টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন ছিল। এ সময় কোনো এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন ছিল না। অন্যদিকে ২০২০ সালে এসে ১২৯৪টি দৈনিক পত্রিকা, ১২০৮টি সাপ্তাহিক পত্রিকা, চারটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন, ২৪টি এমএফ রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর সরকারি অনুমোদন রয়েছে। এই পরিসংখ্যানই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সেই কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। আমরা মনে করি যে, মুক্ত, স্বাধীন এবং একই সাথে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দেশকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি সম্মিলিত দায়িত্বশীলতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। একই সাথে আরও অনেক সাংবাদিক বন্ধু করেনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করছি।

ভিডিওবার্তা রেকডিংয়ের সময় সেখানে উপস্থিত একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদের বক্তব্য আমি দেখেছি। রিজভী আহমেদ অসুস্থ ছিলেন তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন এজন্য আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি। তবে তিনি যেভাবে বক্তব্য রাখছেন আমার কাছে মনে হয় উদভ্রান্তের প্রলাপের মত। এই মহাদুর্যোগের সময় রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন, বিষোদগার এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যাই বলুক না কেন আজকে এই বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিতে, এই মহা দুর্যোগের সময়, এ মহামারীর সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন সেটি আজকে বিশ্ব সমপ্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিকে ফোরাম, ফোর্বস ম্যাগাজিন এবং এমনকি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তার এই নেতৃত্বের প্রশাংসা করেছে। বিএনপি নেতারা প্রশাংসা করার সংস্কৃতিটা লালন করেন না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।