গাজর ভিটামিনের খনি

গাজর ভিটামিনের খনি

বকুল হাসান খান।।

গাজর মূল জাতীয় সবজরি মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য। প্রচুর ভটিামনি এ সম্মৃদ্ধ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গাজর শুধু তরকারিতে নয় সালাদ ও হালুয়া তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যে সব শিশু এমনতিে গাজর খেতে চায় না তাদের জন্য হালুয়া তৈরি করে খাওয়ানো যায়। এতে তাদের ভিটামিন-এ এর অভাব পূরণ করা কিছুটা হলওে সম্ভব হয়।
গাজরে রয়েছে-এ (১০৫২০ মলিগ্রিাম), ভটিামনি-বি ও সি, আয়রন ও ক্যালসয়িাম।  প্রচুর ভটিামনি-এ সম্মৃদ্ধ গাজর পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া যায়। এই পাতায় প্রচুর ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি, ভটিামনি- সি আয়রন, ক্যালসয়িাম ও হজমরে সহায়ক খাদ্য আঁশ আছে। কিন্তু একটু তেতো লাগে বলে এই শাকটি অনকেরেই খাওয়ার অভ্যাস নাই বা  প্রচলন তেমন একটা নেই বললেই চলে।
পানি নিশকাশন সুবধিাসহ দো-আঁশ মাটিতে গাজররে চাষ ভালো হয়। এছাড়া হালকা বেলে দো-আঁশ বা পলি পড়া জমতিওে গাজর ভালো ফলন দেয়। এজন্য নদীর পাড়ে বা চরে গাজরের চাষ ভালো হয়। বর্ষায় জমিতে জো অবস্থা এলে খুব কম খরচে বা প্রায় বিনা চাষেই গাজররে চাষ করা যায়।
বাংলাদেশে গাজররে বীজ উৎপন্ন হয় না বলে চাহিদার পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানী বিদেশী বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানরি সঙ্গে চুক্তরি ভত্তিতিে বীজ এনে এদশেইে প্যাকটেজাত করে বিক্রি করছে। আবার সরাসরি বদিশেী প্যাকটেজাত বীজও কেও কেও বাজারজাত করছে।

লাল তীররে কুরোদা-৩৫ জাতটি কমলা  মসৃন ও সোজা আকৃতবিশিষ্টি এবং প্রায় ২০-২২ সে.মি. লম্বা হয়। এছাড়াও বাজারে কুরোদা ম্যাক্স, নউি কুরোদা, নান্টসে সুপরেয়ির, নান্টসে ইমপ্রুভ ও পুশা কশের জাতের গাজর বীজ পাওয়া যায়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই পুরো অক্টোবর মাসসহ নভম্বেররে মাঝামাঝি র্পযন্ত গাজর বীজ বপন করা যায়। এজন্য জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হয়।

জমিতে কোন ঢেলে রাখা যায় না। এরপর ১ মিটার প্রস্থের বডি তৈ করে ৩০ সে. মি. দূরত্বে সারি করে সারতিে একটু ফাঁক ফাঁক করে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনরে আগে র্কাবন্ডোজমি জাতীয় ছত্রাকনাশকে ১৮-২৪ ঘন্টা বীজ ভজিয়িে রাখতে হয়। জমতিে রস থাকা অবস্থায় বীজ বপন করা উচতি না। আবার রস না থাকলে সচে দিয়ে মাটি ভিজিয়ে পরে জো আসলে বীজ বপন করতে হয়।

গাজররে বীজ বশে ছোট ও হালকা। এজন্য বীজরে সাথে ছাই বা বালি বা ঝুরা মাটি মিশিয়ে  নলি  সুবধিা হয়। চারা গজানোর পর সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব ৫-৭  সাররি বাকি চারাগুলো তুলে ফলেতে হয়।
চারা তুলে পাতলা করে না দলিে পরর্বতীতে গাজর বড় হয় না। শতক প্রতি ১০-১২ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। এতে ২৫৭৫০ টি থকেে ৩০৯০০ টি বীজ থাকে। প্রতি শতকে ৪০ কেজি গোবর বা জবৈ সার, ৮০০ গ্রাম ইউরয়িা, ৫০০ গ্রাম টএিসপি ৫০০ গ্রাম এমওপি এবং জপিসাম ৩০০ গ্রাম সার প্রয়োগ করতে হয়। শষে চাষরে সময় সবটুকু গোবর টএিসপি ও জপিসাম  সার এবং র্অধকে ইউরয়িা ও র্অধকে এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয়। বাকি সারটুকু দুই ভাগ করে চারা গজানোর ১০-১৫ দনি পর প্রথমবার এবং ৩৫-৪০ দনি পর দ্বিতীয় বার উপরি প্রয়োগ করতে হয়। সার প্রয়োগরে পর জমতিে হালকা সচে দতিে হয়। এছাড়াও সব সময় লক্ষ্য রাখতে হয় মাটতিে যনে রসরে অভাব না হয়। রসরে অভাব দখো দয়ো মাত্রই সচে দতিে হয়। গাজররে জমতিে জৈব সার যত বেশি ব্যবহার করা হয় ফলনও তত ভালো হয়। বলেে বা বলেে দো-আঁশ এলাকার মাটতিে বভিন্নি অনুখাদ্যরে মধ্যে বোরনরে অভাব দখো দতিে পার। এতে গাজররে ছোট ছোট পাতাগুলোর কনিারা ক্ষয় প্রাপ্ত হতে থাকে ও পাতা গুলো কুঁকড়য়িে যায়। সক্ষেত্রেে প্রতি লটিার পানতিে ১-২ গ্রাম লবিরলে বোরন বা বোরকি এসডি (পাউডার) মশিয়িে ¯প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। অতরিক্তি বোরন আবার গাজররে ক্ষতি করে থাকে। কনিারা ঝাঁঝরা মত হয় ও কনিারা মুড়ে যায়। গাজরে তমেন একটা পোকামাকড়রে উপদ্রব নইে বললইে চল।ে তবে ছোট অবস্থায় জাব পোকার দ্বারা আক্রান্ত হতে পার।ে এই পোকা পাতা ও গাছরে কচি অংশরে রস চুষে খয়েে বশে ক্ষতি করে থাক।ে সাইপারমথ্রেনি গ্রুপরে কীটনাশক ১-২ মলিলিটিার প্রতি লটিার পানতিে মশিয়িে ১০ দনি পর পর দু’বার ¯প্রে করতে হয়। রোগরে মধ্যে গাজররে পচন রোগ অন্যতম। মূল ও পাতার গোড়ায় ব্যাক্টরেয়িাজনতি এই রোগে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। নাইট্রোজনে সার মাত্রার অতরিক্তি ব্যবহার করলে এই রোগ হয়। রোগ হয়ইে গলেে আক্রান্ত গাছ তুলে ফলেতে হয়।  বাকি গাছগুলোতে ও মাটতিে টট্রোসাইক্লনি ক্যাপসুলরে ভতিররে গুঁড়া (১০০০ মলিগ্রিাম) প্রতি লটিার পানতিে মশিয়িে ¯প্রে করলে কছিুটা সুফল পাওয়া যায়। বীজ বপনরে ৯০-১২০ দনিরে মধ্যে সংগ্রহ কতে হয়। পুরোপুরি পরপিক্কতার জন্য অবশ্য ১৫০-১৬০ দনি র্পযন্ত অপক্ষো করতে হয়। গাজর সংগ্রহরে প্রথমে বড় গুলো তুলে নলিে পরে ছোটগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায় এবং মোট ফলন বৃদ্ধি পায়। তবে বশেি করলে আবার গাজররে গুনাগুন কমে যায়। এমনকি গাজর ফটেওে যায়। প্রতি শতকে ৮০-১০০ কজেি গাজর পাওয়া যায়।  বঘিা প্রতি খরচ হয় প্রায় তনি-চার হাজার টাকা এবং  বঘিায় ২৫০০-৩০০০ কজেি উৎপাদতি গাজর গড়ে ৫/= কজেি দরে বক্রিি করে ১২০০০/= থকেে ১৫০০০/= টাকা আয় করা সম্ভব। র্অথাৎ প্রতি বঘিায় গাজর চাষ করে লাভ করা যায় প্রায় নয়-দশ হাজার টাকা।