করোনার সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেল বিদেশিসহ হাজারো এনজিও কর্মী

করোনার সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেল বিদেশিসহ হাজারো এনজিও কর্মী

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ৩১ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন । তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত, যদি কিছু একটা হয়ে যায় খুব ক্ষতি হয়ে হবে। এ জন্য তিনি বিদেশিদের যেন কোনোভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকতে দেওয়া না হয় তার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার এক দিন পরে উল্টোপথে হেঁটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থাগুলো। বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পে ঢুকেছে শত শত এনজিও কর্মীদের গাড়িবহর। তাদের গাড়ির বহরে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক, উখিয়ার প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। 
স্থানীয়রা জানান, বিদেশিসহ হাজারো এনজিও কর্মী বুধবার শরণার্থী ক্যাম্পে এসেছে। অথচ চলমান অঘোষিত লকডাউনের কারণে এক সপ্তাহ ধরে সেখানে বিনা প্রয়োজনে এনজিও কর্মীদের যাতায়াত এক ধরনের বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
উখিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য আমি চট্টগ্রামে অবস্থান করছি। বুধবার সকাল থেকে আমাকে অনেকে ফোনে জানিয়েছে বিদেশিসহ হাজারো এনজিও কর্মী ক্যাম্পে গিয়েছে। এ জন্য স্থানীয়রা আতঙ্কিত দাবি করে তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য করতে হঠাৎ এ আয়োজন কি না? সে সঙ্গে সবাইকে অনিরাপদ ও হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নিকারুজ্জামান বলেন, আমি ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনও ক্যাম্পের দিকে যাওয়া হয়নি। তবে অনেকই আমাকে দেশি-বিদেশি এনজিও কর্মীরা ক্যাম্পে এসেছে সেটা অবগত করেছেন। এবং তাদের ছবিও তুলে পাঠিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হয়েছে কি না সে বিষয়ে আমি জানি না। কারণ তাদের দেখভালের দায়িত্ব শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের। 
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহাবুব আলম তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাম্পে এনজিও কর্মীরা যাচ্ছে সেটি শুনেছি। তবে স্যারের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত বলতে পারব।
বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নজরে আনার জন্য একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।