ঐতিহাসিক দিবস ৭ মার্চ - মন্ত্রিসভার প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠকে অনুমোদন

ঐতিহাসিক দিবস ৭ মার্চ - মন্ত্রিসভার প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠকে অনুমোদন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনার মধ্যে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (মন্ত্রিসভা অধিশাখা) মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষ থেকে সাতজন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আরও সাতজন সচিব মন্ত্রিসভা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন। 

করোনাভারাসের সংক্রমণের মধ্যে গত ৮ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। ১১ জুন বাজেট অনুমোদনের সংসদে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল মন্ত্রিসভা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর প্রতি সোমবার নিয়মিতভাবে আর মন্ত্রিসভার বৈঠক হচ্ছে না।

৭ মার্চ হচ্ছে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ : একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব তুলেছিলে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর মন্ত্রিসভা ৭ মার্চকে বিশেষ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নতুন করে প্রস্তাব আনতে বলেছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনোয়ারুল বলেন, ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিতে অন্তুর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করেছিল। হাই কোর্ট বছরের শুরুতে এক আদেশে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রতি উপজেলায় জাতির জনকের মুরাল নির্মাণের আদেশও দিয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো সভায় আলোচনা হয়েছে। ৭ মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কো তাদের মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব বিষয়ে আলোচনার পর ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আনোয়ারুল বলেন, ৭ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। তাই মন্ত্রিসভা আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর কোনো ম্যুরাল করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে। কারণ ওই প্রোগ্রামের মধ্যেই অনেক কিছু আছে।