আমরা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি, আমরা অপদার্থ- এমরান চৌধুরী

আমরা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি, আমরা অপদার্থ- এমরান চৌধুরী

সবাই লিখুন একটি করে কবিতা আজ
১৮ কোটি মানুষের দেশে ১০ কোটি কবিতার জন্ম হোক আজ
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া
রূপসা থেকে পাথুরিয়ার প্রতিটি জনপদ হয়ে ওঠুক পলকে কবিতাময়
এখানে আমাদের এই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে কখনো চিত্রকল্পের আকাল ছিল না।
৫৪ এর মনন্তরে হয়তো কাকে মানুষে টানাটানি ছিল
৭৪ এ মনুষ্যসৃষ্ট, সাম্রাজ্যবাদীদের অশুভ করতলে বলি হয়েছিল কিছু মানুষ
বাসন্তী পরেছিল মূল্যবান জাল, অল্প টাকার শাড়ি কেনার সামর্থ্য ছিল না বলে
অবোধ বাঙালীদের বুঁদ করে রেখেছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীরা
অসাধারণ, অনুপম,অনন্য যত চিত্রকল্প এই ধানসিঁড়ির দেশে
ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এখানে ছিল সোনার তরী, সোনার বাংলা, চির উন্নত শির।
এখানে ছিল মাইকেলের অনন্য সুন্দর সাগরদাঁড়ি গ্রাম, দুদ্ধ স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে ঋদ্ধ কপোতাক্ষ নদ।
জীবনানন্দের বনলতাসেন, জসীম উদ্দীনের সোনাই রূপাই, নকশিকাঁথার মাঠ।
আর কত চাই চিত্রকল্প, উপমা, উৎপ্রেক্ষা।
উপমার মহাসাগর ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমার এই দেশ
হয়তো কোনো একদিন ছিল ঝলসানো রুটি
এখন এদেশের মানুষ পেটপুরে খায়, একটিপে পৌঁছে যায় আটলান্টায়
আর কী চাই প্রিয় বন্ধু, লিখতে পার, বলতে পার, এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময়।
যেমন লিখেছিল কবি রফিক আজাদ ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব, আমি মানুষ নামটি লিখে মুতে দিতে চাই।
অনেকতো হলো, আসুন এবার একটি কবিতা লিখি, বলি জনক আমাদের ক্ষমা করো, আমরা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি, আমরা অপদার্থ।