আনোয়ারা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আবদুল হক আর নেই

আনোয়ারা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আবদুল হক আর নেই

আনোয়ারা প্রতিনিধি ।।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পশ্চিম আনোয়ারা ও বর্তমান কর্ণফুলী উপজেলার অধিকাংশ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত কাজী আবদুল হক গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামের কাজী বাড়ির মরহুম কাজী মাস্টার আবদুল মালেকের প্রথম পুত্র আলহাজ্ব কাজী আবদুল হক (৮৩) আজ বুধবার(২২ জুলাই) সকালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)।

বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হক স্থানীয় গুয়াপঞ্চক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

শুধু তাই নয় ১৯৭১ সালের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আলোচিত রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটকের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সংগঠিত করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।

মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হকের ছেলেদের মাঝে ক্যাপ্টেন কাজী মোহাম্মদ আহসান বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার, কাজী মোহাম্মদ হাসান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক)-এর পরিচালক (প্রশাসন), কাজী মো. হোসাইন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও কাজী মো. মোহসেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত আছেন।

তাঁর মৃত্যুতে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টার, বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলেমান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান, সদস্য সচিব অনুপম চক্রবর্তী বাবু, ও আনোয়ারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেন।