সাবেক মেয়র মনজুরুল আলমের বাড়ীতে আ .লীগের রেজাউল

সাবেক মেয়র মনজুরুল আলমের বাড়ীতে আ .লীগের রেজাউল

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

আওয়ামী লীগ মনোনীত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন।

শনিবার সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম মাইজ ভান্ডারী (রহঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারতের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মন্দির পরিদর্শন করে রেজাউল করিম। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তর কাট্টলীতে মনজুরের বাড়িতে পৌঁছেন রেজাউল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মনজুরের ভাতিজা ও চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ দিদারুল আলম। তিনি জানান, আত্মীয়তার সূত্র এবং এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আমাদের বাড়ীতে আসেন। দলীয় প্রার্থী হিসাবে আমরা তাকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।

রেজাউলের সঙ্গে ছিলেন কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনও। তিনি বলেন, তারা পরস্পর আত্মীয়। আগের মেয়র হিসেবে মনজুর আলমের কাছে মেয়রপ্রাথী রেজাউল করিম সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। এ সময় সাবেক মেয়র মনজুর আলম নির্বাচনের ব্যাপারে তাকে বেশ কিছু পরামর্শও দেন বলে জানান খোরশেদ আলম সুজন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মনজুর আলম দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে অনেকদিন ধরেই তৎপর ছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ ডাক দিলে ফের ভোটের লড়াইয়ে নামতে ইচ্ছুক তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি তিনি।

বিএনপির মনোনয়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করা মনজুর আলমের শুরুটা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে। টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই নিজ এলাকা উত্তর কাট্টলী থেকে নির্বাচিত হন কাউন্সিলর। এরপর আদর্শের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে দলবদল করে ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়রও নির্বাচিত হন।

পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বিএনপির সমর্থনে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। তবে ভোটের মাঝপথেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও সরে আসার ঘোষনা দেন মনজুর আলম।