সীতাকুন্ডে সরকারী ঘর পেল অসহায় ৮৯ পরিবার

সীতাকুন্ডে সরকারী ঘর পেল অসহায় ৮৯ পরিবার
সীতাকুন্ডে সরকারী ঘর পেয়ে আনন্দে আত্নহারা অসহায় ৮৯ পরিবার

নাছির উদ্দিন শিবলু, সীতাকুন্ড ।।

‘রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে শত কষ্টে থাকছি পৈত্রিক ভিটায়। বর্ষায় বৃষ্টির ফুটায় দুঃসাধ্য হয়ে উঠে বসবাস। কনকনে শীতে আগুনে উনন ছাড়া ঘুমানো যাই না ঘরে। অর্থভাবে সংস্কার করতে না পারায় কখনও সৌভাগ্য হয়নি নতুন ঘরে বসবাস করার। সল্প আয়ে দুমুঠু খাবারে কোনোভাবে চলছে সংসার। নতুন ঘরে বসবাসের আকাংখা ছিল সব সময়। অবশেষে বর্তমান সরকারের সহযোগীতায় পূরন হল জীবনের শেষ ইচ্ছাটা।’ এভাবে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে ঘর পাওয়ার আনন্দের কথা বললেন সীতাকুন্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালা নগর গ্রামের প্রতিবন্ধি অসহায় শামসুল আলম। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের আনন্দে আত্নহারা হয়ে উঠেছে নতুন ঘর পাওয়া পরিবারগুলো।

ভিটা-মাটিহীন মানুষদের ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশব্যাপী ঘর প্রদান শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে ‘কাবিটা ও জমি আছে ঘর নেই’ এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯টি ইউনিয়নের ৮৯ টি ঘর প্রদান করেছে উপজেলা পরিষদ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রদান করেছে আদা-পাকা ও কাচা ঘর। ৬০টি কাচা ২৯ টি আদাপাকা ঘরের মধ্যে ১ লাখ টাকায় কাচা ঘর এবং ২ লাখ,৯৯ হাজার টাকায় আদা পাকা ঘরের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে। ২টি বেড রুম,১টি কিচেন, ১টি বারান্দা, ১টি করিডোর বিশিষ্ট ঘর তৈরীতে সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে ঘরগুলো নির্মান কাজ শেষ করা হয়েছিল বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রির উপহার স্বরুপ ১৮-১৯ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬৫ পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৯-২০ অর্থ বছরে আরো ২৪ টি পরিবার সনাক্ত শেষ করা হয়েছে ঘর নির্মান কাজ। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায়-দুস্ত পরিবার বাচায় করে বাস্তু হারা মানুষের নতুন ঘরের ঠিকানা তৈরী করা প্রকল্পের লক্ষ বলে জানান তিনি।