সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড-মান্দারীটোলা সড়কের বেহালদশা, দেখার কেউ নেই 

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড-মান্দারীটোলা সড়কের বেহালদশা, দেখার কেউ নেই 
সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড-মান্দারীটোলা সড়কের বেহালদশা, দেখার কেউ নেই 

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড-মান্দারীটোলা সড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের বেহালদশা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে। অথচ দেখার কেউ নেই ।

সীতাকুণ্ড উপজেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসাবে পরিচিত বাড়বকুণ্ডের এ মান্দারীটোলা গ্রাম। ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ সড়কে এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা এবং প্রায় ১০টি গ্যাস ফ্যাক্টরির বড়-বড় কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। প্রায় ৪-৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। এতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না এখানকার বাসিন্দাদের।

সরজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে, মহাসড়ক থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে।

মান্দারীটোলা গ্রামের অটোরিকশা চালক হারুনুর রুশিদ বলেন, এখানে গ্যাস ফ্যাক্টরিগুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটির অবস্থা করুণ হয়ে উঠে। নিয়মিত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ মনুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না চলে আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে আধাঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি।

কাভার্ডভ্যান চালক বেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১০ বছর যাবত এ সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে মালামাল নিয়ে আসি। কিন্তু কখনো দেখি নাই, এটি সংস্কার করতে। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী জানান, মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে বিষয়টি সত্য। আশা করি, এ অবস্থা আর বেশিদিন থাকবে না। সড়কটির টেন্ডার হয়েছে, আশা করছি বর্ষার পর কাজ শুরু করতে পারবো।