সীতাকুণ্ডের করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা সেই রিকশা চালকদের খুঁজছে প্রশাসন

সীতাকুণ্ডের করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা সেই রিকশা চালকদের খুঁজছে প্রশাসন
সীতাকুণ্ডের করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা সেই রিকশা চালকদের খুঁজছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সীতাকুণ্ড উপজেলায় করোনা পজেটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা দুই রিকশা চালককে খুঁজে বেড়াচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।

মিল্টন রায় বলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জের একটি শাখার নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন বুধবার করোনা পজেটিভ হওয়া ওই ব্যক্তি। করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ায় গত দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে ৬ টি বাড়ি আর ৩ টি দোকান লকডাউন করে দিয়েছি। যে রিকশায় করে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসা যাওয়া করেছেন সেগুলো ট্রেস করার চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রেস করা যায়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। বিভাগটি ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। সেখানে যিনি তার সেম্পল সংগ্রহ করেছেন তাকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।’

জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকায় যে ভবনে তিনি থাকেন সেই ভবনের তিন তলায় একটি ফ্ল্যাটে কোয়ারেন্টাইন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ভবন মালিক। গত দুদিন সেখানেই ছিলেন তিনি। এই সময়ে উনার পরিবারের কোন সদস্য কিংবা ওই ভবনের কেউই উনার সংষ্পর্শে আসেননি বলে দাবি আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের।

আক্রান্ত ওই ব্যক্তির ছেলে বলেন, ‘আব্বু নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরলে আমাদের বিল্ডিংয়ের মালিক কোয়ারেন্টাইন করতে বলেন উনাকে। এজন্য আমরা যে ফ্ল্যাটে থাকি তার উপরের তলায় আলাদা একটা ফ্ল্যাটে উনাকে কোয়ারেন্টাইন করার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। সময় মত আম্মু গিয়ে খাবার দিয়ে আসতেন। উনি আসার পর থেকে আমরা কেউ উনার সংষ্পর্শে আসিনি। ‘

সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকার তিন তলা যে ভবনে তিনি থাকতেন সেখানে তার পরিবার সহ মোট ১১ টি পরিবার থাকেন বলে জানা গেছে। আর তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার দুই ছেলে, দুই মেয়ে, স্ত্রী ও এক নাতনী। এদের মধ্যে তার স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরার পর নমুনা পরীক্ষার জন্য ছেলেকে সাথে নিয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়েছিলেন তিনি। এসময় রিকশা যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যান তিনি। আবার ফিরেনও রিকশায়।

এই বিষয়ে উনার ছেলে জানান- ‘বুধবার সকালে আমি উনাকে নিয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাই। তবে সেখানেও আমাদের মাঝে দূরত্ব ছিল। দুজনে আলাদা আলাদা দুটো রিকশায় করে সেখানে যাই। সেখানে ডাক্তাররা নমুনা সংগ্রহের পর একইভাবে আমরা ফেরত আসি। এসেই তিনি আবার একা একা উপরে চলে যান।’

পরিবারের কেউই নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরার পর তার সংষ্পর্শে না এলেও স্ত্রী ও ছেলে দুজন তার কাছাকাছি গিয়েছিল বলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়।