সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ইট-বালির রমরমা ব্যবসায়

সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ইট-বালির রমরমা ব্যবসায়
সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ইট-বালির রমরমা ব্যবসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক,  সীতাকুণ্ড ।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌরসভার শেখপাড়া-বায়তুশ শরফ অংশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইট-বালুর রমরমা ব্যবসা। ব্যস্ত মহাসড়কটির বিপদজনক এই জোনে যেখানে পথচারীদের হাঁটা-চলা করার কথা, সেই স্থানে জমাট করে স্তুপ করা হচ্ছে ইট-বালু। এছাড়াও পৌরসভার এই অংশটিতে এর আগে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর ইতিহাসও রয়েছে।

২০০১ - ২০১৯ এখানে ঘটেছে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনা। এক জরিপে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের শুধুমাত্র এই অংশে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন মারা গেছে। আর সম্প্রতি ফুটপাত দখল করে এই অংশটি আরো বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। দখল করা হয়েছে সড়কের দুইপাশ। রাখা হয়নি পথচারী চলাচলের কোন জায়গা। ছাত্রছাত্রীরাও চলাচল করছে মহাসড়কের উপরে ওঠে। শুধু তাই নয় সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা, পিকআপসহ সবগুলো গাড়ি ওল্টো পথে আসে। তার উপর রয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রামগামী বাসের ওভারট্রেকিং।

মহাসড়কের পাশে পথচারী যাতায়াতের স্থান দখল করে দীর্ঘদিন ইট-বালুর ব্যবসা চললেও এই বিষয়ে নির্বাক সংশ্লিষ্টরা। দখলদারেরা রাজনৈতিক ছত্রছায়া পাওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করেন না। প্রভাবশালীদের জাঁতাকলে সবাই নীরব। তাছাড়া এই পয়েন্টগুলোতে প্রায় সময় বড় বড় ট্রাক দাঁড় করিয়ে নামানো হয় ইট -বালু।

এরকম অবস্থা শেখপাড়া -বায়তুশ শরফ অংশে রাস্তার উভয় পাশে। শুধু তাই নয় এসব বালু গড়িয়ে সড়কে এসে জমা হয়। ফলে কিছু কিছু গাড়ি বালিতে উল্টে যায়। কিছুদিন আগেও এই স্থানে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর বছর খানেক আগে সাবেক এক কমিশনারের কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে মহাসড়কে। প্রতিদিন কোন না কোন মোটর সাইকেল আরোহর বড় গাড়ির চাপে বালুতে চাকা তুলে দিতে বাধ্য হয়। ফলে বালুতে ওল্টে দূর্ঘটনা ঘটে। যার জন্য দায়ী এসব অবৈধ দখলদার।

শেখপাড়ার স্থানীয়রা জানান, কারো কাছ থেকে অনুমোদন নিলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে এই ব্যবসা একেবারেই বে-আইনী। তাদের দাবি- সড়কের পাশে ইট, বালু, সিমেন্ট রাখার কারনে হাঁটতে গিয়ে মহাসড়কে উঠে যেতে হয়। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি সব সময়ই থাকে। তাছাড়া স্তুুপ করা এই বালু দ্রুতগতির গাড়ির বাতাসে উড়ে চালক-পথচারীর চোখে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে পৌরমেয়র পদক্ষেপ নিবেন বলে আশাবাদী এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।