সীতাকুণ্ডে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী , বিচিত্র সব প্রাণীর মেলা

সীতাকুণ্ডে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী , বিচিত্র সব প্রাণীর মেলা
সীতাকুণ্ডে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী , বিচিত্র সব প্রাণীর মেলা

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

‘স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে মুখ্য করে সীতাকুণ্ডে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছিল বিভিন্ন ধরণের গবাদিপশু, পার্সিয়ান বিড়াল, গৃহপালিত শুকর, কবুতর, ময়না, টিয়া, ঘুঘু, ককাটেল, লাভ বার্ড, খরগোশ, ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল জার্সি, রেড চিটাগং জাতের গরু, গরুর বাছুর, মহিষ, ব্ল্যাকবেঙ্গলসহ নানা জাতের ছাগল, ভেড়া, বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন পাখি, মোরগ, হাঁস, মুরগি, কুকুর ইত্যাদি।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম। এসময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. তাহমিনা আরজু’র সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জিয়াউল কাদের, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো. শাহ আলম, কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুলাহ, খাদ্য অফিসার শামসুন্নাহার স্বর্ণা প্রমুখ।

প্রাণীসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিপিপি) আওতায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে মোট ৩০টি স্টলে খামারিরা অংশ নেয়। এসব স্টলে বিচিত্র সব প্রাণী ছাড়াও উন্নতজাতের হাইড্রোফোনিক, রেড পাকচং ঘাস, ইস্ট ফার্মন্টেড কর্ণ (ভুট্টা), ইউ এম এস এর চাষাবাদ, আধুনিক পদ্ধতিতে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদনের ইনকিউবেটরও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার দুগ্ধজাত পণ্য (মিষ্টি, দই, ঘি, মাখন, ছানা), বিভিন্ন প্রাণীর মাংস থেকে প্রক্রিয়াজাত করা পণ্যও প্রদর্শন করা হয়।

মেলা শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। এরপর বিকাল চারটায় শহীদ মিনার সংলগ্ন মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. তাহমিনা আরজু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারী ও ঔষুধ বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, এবারের প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। প্রদর্শনীতে হরেক প্রকার প্রাণীর দেখা মিলেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখানো হয়েছে। কীভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাণীসম্পদকে এগিয়ে নেওয়া যায় তা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব কিছুই সরকারের প্রাণীসম্পদ খাতে উন্নয়নের চিত্রকে তুলে ধরে। মানুষ সরকারি সেবাসমূহ জানতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত এখন আরও সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। আধুনিকায়ন হয়ে সহজতর হচ্ছে। এটি নতুন প্রজন্মকে যেমন বিভিন্ন পোষা ও বন্য প্রাণীর সঙ্গে পরিচিত করবে, তেমনি খামারিদেরও আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবে। বিশেষ করে বেকার যুবকদের জন্য প্রদর্শনীটি পাথেয় হয়ে থাকবে।

প্রদর্শনীতে ডেইরি, পোল্ট্রি অ্যান্ড ফ্যাটস ও প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তিতে খামারিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সকল খামারিদের সনদ, সৌজন্য পুরস্কার ও ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;