সীতাকুণ্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন

সীতাকুণ্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন
সীতাকুণ্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন

এম কে মনির, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল, মুছে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম,চালানো হয়েছিল অপপ্রচার,তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানতে বাঁধা দেওয়া হয়েছি্‌ ,বই পুস্তকে বঙ্গবন্ধুর নাম ও ইতিহাস মুছে দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালনকারীদের হত্যা করা হয়েছিল,চালানো হয়েছিল নির্মম নির্যাতন বলে মন্তব্য করেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়্যা।

১৭ মার্চ সকাল ১০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত  সমাবেশে  তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিসন্দেহে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রেহান উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম।

এস এম আল মামুন বলেন মুজিবর্ষে তরুণ সমাজকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানাতে হবে। এই সময় যদি বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানানো না যায় তাহলে মুজিববর্ষের সকল আয়োজন পন্ড হবে। এসময় তিনি পুরো বছর জুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর কর্মসূচীর পরামর্শ দেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ওয়াহিদী, মুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী,আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মিয়া, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শায়েস্তা খান সাজু, রেহান উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের মূল কর্মসূচী ছোট করে আনা হয়েছে। সেই অনুসারে উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুব লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ অংশ নেন।