রোহিঙ্গাদের ভাসান চর দ্বীপে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের ভাসান চর দ্বীপে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য বানানো ভবন। এএফপি

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, “আমরা শিগগিরই একটি যাওয়া ও পরিদর্শন সফরের (কর্মসূচি) ব্যবস্থা করবো। বর্ষার পর আমরা রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর শুরু করার প্রত্যাশা করছি।”

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেখানে ভালো আছেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, জাতিসংঘের দলও পরিদর্শন করতে পারে এবং মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের লোকদের জন্য সরকার আরও পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে।

ভাসান চরে ১ লাখ রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করতে সেখানের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে সরকার।

মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশের অভাব এবং দুটি ব্যর্থ প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে এখনো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না।

রাখাইন রাজ্যের পরিবেশের পরিবর্তন আনতে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে বোঝানোর জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (২৪ আগস্ট) কানাডিয়ান হাইকমিশন ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদশের সাউথ-এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (সিআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিআইপিজি) আয়োজিত “রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: ওয়েস্টার্ন, এশিয়ান এবং দ্বিপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি” শীর্ষক ওয়েবিনারকে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

দ্বিপক্ষীয়, বহুপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের কয়েকটি মূল বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানের উপায় সন্ধানের নিয়ে ধারণা তৈরি এবং মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে এর আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য রাখাইনে “অনুকূল পরিবেশের অভাবের কারণে এ সংকট চতুর্থ বছরে প্রবেশ করা সত্ত্বেও মিয়ানমার কোনো রোহিঙ্গাকে এখনো ফিরিয়ে নেয়নি।”

২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরু করলে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।