র‌্যাগিং বন্ধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ

র‌্যাগিং বন্ধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ
প্রতীকী ছবি

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগিংয়ের’ নামে জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে নবীনদের নির্যাতন ঠেকাতে কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষেয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ  দেয়।

আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাগিং সংস্কৃতি বন্ধে কমিটি গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে শিক্ষার্থীদের জীবন ও সম্মানরক্ষায় র‌্যাগিং বন্ধে নীতিমালা করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর র‌্যাগিং বন্ধ ও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় জন্য অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটি গঠন ও মনিটরিংয়ের জন্য অ্যান্টি-র‌্যাগিং স্কোয়াড গঠনে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা নোটিশে বলা হয়।

ওইসময় আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণ-তরুণীরা সিনিয়রদের র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে ওঠ-বস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করে নির্যাতন চালান। এছাড়াও গালিগালাজ করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা ও নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয় নবীন শিক্ষার্থীদের। র‌্যাগিংয়ের নামে এ ধরনের নির্যাতনের অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।