মীরসরাইয়ে মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত ড্রেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

মীরসরাইয়ে মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত ড্রেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
মীরসরাইয়ে মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত ড্রেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

মীরসরাই প্রতিনিধি ।।

সদ্য নির্মিত মীরসরাই পৌরসদর বাজারে একটি ড্রেনে ঢাকনা না দেয়ায় ফুটপাতে চলাচলকারীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ড্রেনের পাশেই রয়েছে স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষ এমন উন্মুক্ত ড্রেনে পড়ে যে কোনো মূহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

জানা যায়, মাসখানেক আগে মীরসরাই পৌরবাজারের মহাসড়ক সংলগ্ন বালিকা বিদ্যালয়ের সম্মুখ এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিকের প্রায় ২৬০ মিটার এলাকায় নির্মিত হয় বাজারের পানি সরানোর একটি ড্রেন। কিন্তু ড্রেন নির্মাণের পর প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ড্রেনের উপর বসানো হয়নি কোনো ঢাকনা। অথচ স্কুল মাদ্রাসা থেকে শুরু করে অফিস হাসপাতালসহ সর্বত্র যাতায়াতের একমাত্র চলাচলের ফুটপাত এটি। মহাসড়কের পাশের এই অংশটিতে চলাচলের পথ এমনিতেই সংকীর্ণ। তার উপর নির্মাণ করা হয়েছে ড্রেন। কিন্তু ড্রেনের উপর কোনো ঢাকনা না থাকায় ইতোমধ্যে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় রফিক মিয়া (৬১) বলেন, গার্ল স্কুলের এই পাশটায় খুবই ছোট ফুটপাত। হাটবাজার করতে গিয়ে অনেক সময় ট্রাক বাস গায়ের উপর চলে আসে। এখন ড্রেনের উপর দিয়ে শিশুরা হাটে। কখন যে দুর্ঘটনা হয় সে আতংকে থাকি।

এ বিষয়ে মীরসরাই বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আজিম বলেন, আমার বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্র শিক্ষার্থীকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। বিদ্যালয়ের গেট থেকে দুপাশে এভাবে ড্রেনটা ঝুকিপূর্ণভাবে উম্মুক্ত রাখা হয়েছে যে, আমাকে সবসময় আতংকে থাকতে হয়। পাশে চলাচলের পথও না থাকায় ড্রেনের উপর দিয়েই সবাইকে চলাচল করতে হয়।

উক্ত ড্রেনের ঠিকাদার তাহের ব্রাদার্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে এলাকাবাসী এবং শিশু কিশোরসহ সকলের সুবিধার্থে ড্রেনের উপর বসানোর জন্য টপ স্লাব নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো লাগানো শুরু হয়ে যাবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেক বলেন, পুরো ড্রেনে স্লাব বসাতে না পারলেও এলাকাবাসীর সুবিধার্থে দোকানপাট ও বিদ্যালয়ের সম্মুখভাগে ড্রেনটিতে আমরা শীঘ্রই স্ল্যাব বসাবো। ঠিকাদারকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;