বিএনপি-জামায়াত শাসনামল : সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কারণে ২৬ রাষ্ট্রের ক্ষোভ

বিএনপি-জামায়াত শাসনামল : সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কারণে ২৬ রাষ্ট্রের ক্ষোভ
বিএনপি-জামায়াত শাসনামল, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কারণে ২৬ রাষ্ট্রের ক্ষোভ

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার গঠনের পর থেকেই সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিধন এবং সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক লুটপাট-চাঁদাবাজি চালায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এমপি-মন্ত্রী ও বিএনপি নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি এবং হাওয়াভবনের সন্ত্রাসের কারণে থমকে যায় দেশের উন্নয়ন। দৈনিক আট-দশটি হত্যার ঘটনা ছিল তখন পত্রিকার নিত্যদিনের সংবাদ। এমনকি সিন্ডিকেট করে অর্থপাচারের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে অর্ধাহারে দিন কাটাতে থাকে নিম্নবিত্তের মানুষ। এমনকি উন্নয়ন তহবিলের জন্য বিদেশিদের অনুদানের টাকা পর্যন্ত লুটপাট করে খেয়ে ফেলে খালেদা জিয়ার সরকারের লোকজন।

২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিলের প্রথম আলো পত্রিকা থেকে জানা যায়, এসব কারণে বাংলাদেশে অবস্থিত দীর্ঘদিনের দাতাগোষ্ঠীগুলোর ২৬টি দেশের প্রতিনিধিরা একত্রে বসে একটি বৈঠক করে। এবং তাদের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টের ক্রিস্টিন আই ওয়ালিক জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দাতারা চায় কম সংঘাম, বেশি উন্নয়ন।

কারণ দাতাদের দেওয়া অর্থগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকা। সেই টাকা দেওয়ার পর দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন না হলে, নিজ নিজ দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হয় দাতাগোষ্ঠীগুলোকে।

দাতারা বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির উন্নতি হয়নি কোনো। পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ ও নিয়োগের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করে পুনর্গঠনের আহ্বানও জানান তারা। এমনকি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাঁধাগুলো দূর করার তাগিদ দেন তারা।

অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এসময় সন্ত্রাস ও দূর্নীতির কারণে উন্নয়নের গতি স্লোর অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক কারণে অনেক সময় তার সুফল পাওয়া যায় না।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;