প্রেমের বিচ্ছেদ মানেনি রুম্পা,তাই প্রেমিকের হাতে খুন? সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রেমের বিচ্ছেদ মানেনি রুম্পা,তাই প্রেমিকের হাতে খুন?  সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে
প্রেমের বিচ্ছেদ মানেনি রুম্পা,তাই প্রেমিক সৈকতের হাতে খুন? রিমান্ডে ৪ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যার ঘটনায় ‘প্রেমিক’ আবদুর রহমান সৈকতকে গ্রেফতার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, রুম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন তার প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর ওই বাসার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে রুম্পাকে নিচে ফেলে দেন।

সৈকতকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শেষে এমন সন্দেহ হচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এ কারণে সৈকতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত সৈকতের চার‌দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রুম্পার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনার জোনাল টিমের পরিদর্শক শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে এদিন আদালতকে জানান, রুম্পা ও সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দিন দিন তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তারা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। তখন কোনও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৈকত। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না।

তিনি আরও জানান, এ নিয়ে দুজনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জেরে ওই দিন রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। এটাই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে।

পরে ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট মো. মামুনুর র‌শিদ আবেদন আমলে নিয়ে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ক‌রেন।