পয়লা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দিতে হবে

পয়লা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দিতে হবে
পয়লা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দিতে হবে

শুক্রবার পয়লা বৈশাখ। ১৪৩০ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এদিন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে শুধু অনলাইনের মাধ্যমে। কর দেওয়ার পর অনলাইন থেকে কিউআর কোডযুক্ত দাখিলা (রসিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন করদাতারা। এর মাধ্যমে নগদ টাকা ছাড়া (ক্যাশলেস) ই-নামজারির মতো সারা দেশে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন করের ব্যবস্থা চালু হবে। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

 

গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভূমিমালিক হিসেবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে  www.land.gov.bd ঠিকানার ওয়েব পোর্টালে নাগরিক নিবন্ধন করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে অনলাইনে দাখিলা সংগ্রহ করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করা যাবে (বিদেশ থেকে +৮৮০ ৯৬১২৩ ১৬১২২) অথবা সরাসরি মেসেজ পাঠানো যাবে এই ফেসবুক পেজে

 

যাঁদের জমি রয়েছে এবং যাঁরা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকানার অংশ হিসেবে জমি পেয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য ভূমিকর দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে ভূমিকর জমা দিয়ে রসিদ নিতে হয়। এখন এই কাজ অনলাইনেই করা যাবে।

এলডিট্যাক্স অ্যাপ থেকেও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা যাবে
এলডিট্যাক্স অ্যাপ থেকেও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা যাবে স্ক্রিনশট

যেভাবে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে

অনলাইনে ভূমিকর প্রদান করতে ভূমির মালিককে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র, মুঠোফোন নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করে নিবন্ধিত হতে হবে। একবার নিবন্ধিত হলে ওই ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে আর নিবন্ধন করতে হবে না।

  • ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এলডিট্যাক্স নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। ভূমির মালিক এই অ্যাপে নিবন্ধন করবেন।

  •  

তিনটি প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন

  • www.land.gov.bd অথবা ldtax.gov.bd ঠিকানার ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারে ৩৩৩ অথবা ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ফোন নম্বর ও জমির তথ্য প্রদান করেও নিবন্ধন করা যাবে।

  • যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ ও খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যায়।

  • নিবন্ধনের পর এই পোর্টালে লগইন করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে গিয়ে ভূমির উন্নয়ন কর দিতে পারবেন। এ সময় বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে করের টাকা পরিশোধ করা যাবে। কর দেওয়ার পর ই–মেইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি জমার রসিদ চলে আসবে। এটিই ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ।

  • নিবন্ধনহীন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা প্রদানের জন্য গেলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রথমেই তাঁর সব ডেটা এন্ট্রি করবেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে হোল্ডিংমালিকদের তথ্য এন্ট্রি করবেন। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসেই এলডি ট্যাক্স সিস্টেমে অন্যান্য ডেটা অনলাইনে এন্ট্রি করবেন।

  •  

  • খালেদ / পোস্টকার্ড ;