ক্ষমার অযোগ্য বিএনপির আইনজীবীদের অপরাধ,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী

ক্ষমার অযোগ্য বিএনপির আইনজীবীদের অপরাধ,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন বিএনপি আইনজীবীদের : তথ্যমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

সর্বোচ্চ আদালত অবমাননাকারী বিএনপির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে ও বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, মাননীয় প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে তারা যে ধরনের হট্টগোল করেছে, গণ্ডগোল করেছে, দেশের ইতিহাসে এটি একটি কলংকজনক ঘটনা ও দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর জিইসি মোড় কে-স্কোয়ার মিলনায়তনে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানোতেই বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং মাননীয় বিচারপতিবৃন্দকে এজলাস ছাড়তে হয়েছে। নজীরবিহীন ও ন্যক্কারজনক এ ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, দেশের সামগ্রিক আইন-আদালতের প্রতি হুমকি ও সর্বোচ্চ আদালতকে অবজ্ঞা-অসম্মানের শামিল। দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে এ ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, সেই বিষয়ে শুনানি পেছানোতেই যদি সর্বোচ্চ আদালতে হট্টগোল হয়, জামিন হলে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা অরাজকতা করবে, সেটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তিনি বলেন, বিএনপির আইনজীবীদের এটাই প্রথম নয়, এর আগেও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আপনাদের মনে আছে, অতীতে তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। তাদের যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, এটি আদালতের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এ ধরনের আচরণ সরকার এবং বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিচারপতি এবং বিচার বিভাগকে হুমকি প্রদর্শন, যে কারণে বিচারপতিগণ এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা দেশের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি। তিনি বলেন, দেশের ও আইনের স্বার্থে এবং বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি সফিক আহমেদ সাজিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিরুদ্দিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি রুনা, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাবু, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি ফারুক ইকবাল, এহসানুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তিনজন সেরা রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। রিপোর্টারে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন চ্যানেল ২৪-এর আকরাম হোসেন, দ্বিতীয় যৌথভাবে দুজন ফখরুল ইসলাম চ্যানেল ২৪ এবং মো. শোয়েব উদ্দিন যমুনা টিভি, তৃতীয় হয়েছেন প্রণবেশ চক্রবর্তী ৭১ টিভি। ক্যামেরাপার্সনদের মধ্যে পুরস্কার পেয়েছেন সেলিম, আবু জাহিদ, দিপংকর দাশ ও বাবুন পাল। ডকুমেন্টারিতে পুরস্কার পেয়েছেন এনামুল হক, সেলিম উল্লাহ, অমিত দাশ ও সঞ্জিব দেব বাবু।