দাম্ভিক ছিল লোকটি , পরিচয় জানালে হয়তো মেরে ফেলত- ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীটি যেভাবে পালিয়েছিল

দাম্ভিক ছিল লোকটি , পরিচয় জানালে হয়তো মেরে ফেলত- ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীটি যেভাবে পালিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসেছে তার বর্ণনা দিয়েছে তারই সহপাঠী, শিক্ষিকা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। ধর্ষণের সময় ধর্ষক ওই ছাত্রীকে বারবার তার নাম জিজ্ঞেস করেছিল বলেও জানিয়েছে ওই ছাত্রী। ‘আমি ভাবছিলাম, আমি ঢাবি শিক্ষার্থী বললে আমাকে মেরে ফেলবে। আমার পরিচয় জানলে আমি বাঁচব না। ওই লোক খুব  দাম্ভিক ছিল। আমি তাকে প্রতিরোধ করতে পারিনি।’ এভাবেই ধর্ষণের রাতের ঘটনা হাসপাতালে ভর্তির আগে ও পরে কয়েকজন শিক্ষক ও বন্ধুর কাছে বর্ণনা করে ওই ছাত্রী।

ওই ছাত্রী জানায়, সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর থেকে শেওড়াপাড়ার বন্ধুর বাসায় রওনা দিয়েছিল সে, কিন্তু ধর্ষণের শিকার থেকে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছতে তার সময় লেগেছিল সাড়ে তিন ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঠিক কতক্ষণ সে জ্ঞান হারিয়েছিল তা বলতে পারেনি। তবে জ্ঞান ফিরে আসার পর বুঝতে পারে, ঘণ্টাদুয়েক পার হয়েছে এবং ধর্ষক তখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও সামিনা লুৎফা। ধর্ষকের বর্ণনা দিয়ে (ওই ছাত্রীর বরাতে) সাদেকা হালিম জানান, দেখে মনে হচ্ছিল সিরিয়াল কিলার। ঠান্ডা মাথায় সে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছে একাধিকবার এবং মেয়েটিকে জোর করে পোশাকও পরিবর্তন করিয়েছে আবার ধর্ষণ করেছে।

ভিকটিম জানিয়েছে, ধর্ষক তার পরিচয় জানতে চেয়েছে বারবার। মেয়েটি আন্দাজ করছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই সে মুখ খোলেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা জানান, কিছু দূর হেঁটে সে (ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী) চেষ্টা করেছে সিএনজি বা গাড়ি থামাতে।

না পেরে রাস্তা পার হয়ে বন্ধুর বাসায় পৌঁছতে সক্ষম হয়, তখন রাত সাড়ে ১০টা। ধর্ষকের চেহারার বিষয়ে কিছু জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে সামিনা জানান, অবয়ব বিষয়ে পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়েছে সেই শিক্ষার্থী। তবে লোকটি দাম্ভিক ছিল বলেও জানিয়েছে। তাকে পেছন থেকে ধরে নিয়ে গেছে। কীভাবে পালিয়ে এলো সে বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ধর্ষণের কোনো এক সময় মেয়েটি জ্ঞান হারায়।

এরপর যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে ধর্ষককে দেখতে পায়। ধর্ষক পেছন ফিরে ভিকটিমের ব্যাগ থেকে কিছু বের করার চেষ্টা করছিল। এ সুযোগে সে ওই স্থান থেকে পালিয়ে আসে। সুত্র. সময়ের আলো