জাতি প্রবেশ করল মুজিব বর্ষে,বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে মুজিবময় দেশ

জাতি প্রবেশ করল মুজিব বর্ষে,বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে মুজিবময় দেশ

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

মুজিব বর্ষে প্রবেশ করল জাতি । বদ্বীপের এ স্বাধীন ভূখন্ডের চিত্রকর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী শুরু আজ থেকে। সবুজ-শ্যামল আর সুনীল প্রান্তর আজ মুজিবময় হওয়ার দিন।

একাত্তরের মার্চে গোটা এ অঞ্চল মুজিবময় হয়ে উঠেছিল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর পুরো দৃশ্যপট বদলে যায়। পূর্ব বাংলা হয়ে ওঠে মুজিবময়। সব চলে বঙ্গবন্ধুর কথায়। আবার যেন ফিরে এসেছে সেই একাত্তর। বাংলার প্রতিটি ঘর হয়ে উঠেছে মুজিবময়। এ বছরটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ আজ ১৭ মার্চ রাত ৮টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ‘মুজিব বর্ষ’ কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবস ঘিরে কর্মসূচির পাশাপাশি পুরো বছরে বিভিন্ন আয়োজন।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। মুজিব বর্ষ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ শুরু হয়ে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত।

মুজিব বর্ষের কর্মসূচি প্রসঙ্গে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, ১৭ মার্চ রাত ৮টায় রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের পরপর আতশবাজির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বাণী দেবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য দুই ঘণ্টা টেলিভিশন অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, সেটা পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশে এবং সারা পৃথিবীতে সম্প্রচার করা হবে। এই প্রোগ্রামটার মধ্যে আমাদের জাতীয়  সঙ্গীত ও প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন, পরে কবিতা পাঠের আয়োজন থাকবে।
জাতীয় শিশু দিবসে এই আয়োজনে শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত ও শিশুদের কণ্ঠে অন্য সঙ্গীত পরিবেশনা থাকবে। একশ দেশীয় শিল্পীর যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি মুজিব বর্ষের জন্য থিম সং বা উৎসব সঙ্গীত পরিবেশিত হবে অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধনী আয়োজনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, অবদান ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে ‘চিত্রপটের দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ নামে থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফির আয়োজন থাকবে। এটি পরিবেশন করবে শিল্পকলা একাডেমি। সবাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। সে জন্য রাত ৮টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি টেলিভিশন, সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ায় একযোগে অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।