চট্টগ্রামের ম্যাক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা

চট্টগ্রামের ম্যাক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা
চট্টগ্রামের ম্যাক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান। আজ মঙ্গলবার ( ১০ ডিসেম্বর)  সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়। গর্ভ অবস্থায় শিশু মৃত্যুর ব্যাপারে ম্যাক্স হাসপাতালকে দায়ী করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নূন্যতম সম্পর্ক নেই। মামলার বাদী ইউসুফ আলম মাসুদের স্ত্রী শারমীন আক্তার চমেক হাসপাতাল গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.আফরোজা ফেরদৌস আক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১ ডিসেম্বর নিয়মিত চেকআপের ডা. আফরোজার চেম্বারে আসেন। চিকিৎসক রোগীর সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক দেখে প্রেগনেন্সি প্রোফাইল তৈরি করার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোগীর শারমিন ডা. এইচ এম রাকিবুল হকের নিকট আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। পরবর্তীতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট নিয়ে ডা. আফরোজাকে দেখালে সব কিছু ঠিক আছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরবর্তীতে রোগী অসুবিধা বোধ করলে ডা. আফরোজার সাথে কোনো রকম যোগাযোগ না করে গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান। পরে রোগী একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করে বলে জানা যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রায় ৬ঘন্টা আগে বাচ্চা মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে। জরায়ু থেকে বাচ্চার মাথা বের করা অবস্থায় ছিল ফলে চিকিৎসকের চেষ্টায় বাচ্চটির ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। তাঁর দাবি, জরুরি প্রসূতি সেবা মেট্রোপলিটন হাসপাতাল প্রদান করেছে। এ ঘটনায় কোনো ভাবে ম্যাক্স হাসপাতাল দায়ী নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমে চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. আব্দুল কাশেম চৌধুরীসহ প্রমুখ।